শেষ আপডেট: 6th March 2025 13:21
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ইতিমধ্যে বহুবার আইসিসির (ICC) দ্বারস্থ হয়েছেন। কিন্তু কোনও ফল মেলেনি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (Champions Trophy) সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে (Australia) হারানোর পর ফের একবার ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থার কাছে বিশেষ আর্জি রাখলেন ভারতের পেসার মহম্মদ সামি (Mohammad Shami)। তাঁর অনুরোধ: কোভিডের পালা চুকেছে। এখন অন্তত বোলারদের থুতু ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হোক। এর অভাবে এখন ফাস্ট বোলারদের কেউই রিভার্স সুইং (Reverse Swing) করাতে পারছেন না।
২০২০ সালে কোভিড জমানায় সংক্রমণ রুখতে থুতু ব্যবহার নিষিদ্ধ হয়। অথচ বোলারদের এই গুপ্ত কৌশল ক্রিকেটে দীর্ঘদিন ধরেই চালু ছিল। বিশেষ করে সিমাররা বলের ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখতে থুতুকে কাজে লাগাতেন। বল পুরোনো হয়ে গেলে তার একদিক উজ্জ্বল ও শক্ত রাখতে থুতু মাখানো হত। কেউ কেউ ঘামও কাজে লাগাতেন, এখনও লাগান। কোভিডের সময়, ২০২০ সালের মে মাসে, ঘামের প্রয়োগ নিষিদ্ধ না হলেও থুতু ব্যবহার বন্ধ করে দেয় আইসিসি। তার কারণ সেই সময় কোভিড বিভিন্ন মাধ্যমে সংক্রমিত হচ্ছিল, যার একটি ছিল লালা বা থুতু।
ক্রিকেটের বিজ্ঞান বলে, একদিক শক্ত এবং অন্যদিক চকচকে হলে বল রিভার্স সুইং করে। তখন বলের একদিক ভারী থাকার ফলে হাওয়ায় উল্টোদিকে বাঁক নেয় আর রিভার্স সুইং হয়। অতীতে উপমহাদেশের বোলাররা, বিশেষ করে পাকিস্তানের ওয়াসিম আক্রম, ওয়াকার ইউনুস এবং ভারতের জাহির খানদের মতো পেসার রিভার্স সুইংয়ে সুনাম কুড়িয়েছেন।
সামি তাঁদেরই ধারার উত্তরসূরী। বিশেষ করে ইনিংসের মাঝপথে যখন বলের চাকচিক্য উঠে গিয়েছে তখন বিষাক্ত রিভার্স সুইংয়ে বহুবার পার্টনারশিপ ভেঙেছেন তিনি। এবার সেই পুরোনো অস্ত্রকে আরও ধারালো করার জন্য আইসিসিকে আর্জি জানিয়েছেন। সামি বলেন, ‘আমরা রিভার্সের জন্য ক্রমাগত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু থুতুকে ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছি না। অনেক বার উপরোধ রাখা হয়েছে। কিন্তু অনুমতি পাইনি।‘
উল্লেখ্য, আজ থেকে দেড় বছর আগে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ ফাইনালে চোট পান সামি। তারপর দীর্ঘদিন দলের বাইরে, ক্রিকেটেরও বাইরে। ফিরে আসেন রঞ্জির ময়দানে। ভারতের জার্সি গায়ে নামেন ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড সিরিজে। তারপর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দুর্দান্ত কামব্যাক। আইসিসি সামির অনুরোধে কর্ণপাত করলে ভারতীয় দলের পেসার যে আরও ভয়ংকর হয়ে উঠবেন তা বলাই বাহুল্য।