
সার্জিও রামোসের অভিষেক ম্যাচে নায়ক মেসি, ভয়ঙ্কর চোট পেলেন নেমার
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বার্সেলোনা জার্সিতে লিওনেল মেসি বেশি উজ্জ্বল ছিলেন। কিন্তু প্যারিস স্য জ্যঁ-র জার্সিতে নয়, এমন সমালোচনাকে উড়িয়ে দিয়ে স্বমেজাজে ফিরলেন রাজপুত্র। সেন্ট এতিয়েনের বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে পিএসজি ৩-১ গোলে জিতল, মেসির গোল নেই, কিন্তু তিনিই নায়ক। যে তিনটি গোল হয়েছে, তাতে মেসিরই অবদান রয়েছে।
ম্যাচের ৭৯ মিনিটে সেন্ট এতিয়েনের ডি-বক্সের বাইরে বলের দখল প্রায় হারিয়ে ফেলেছিলেন মেসি। তবু কীভাবে যেন বলটা আবার নিয়ন্ত্রণে নিলেন। পায়ের বাইরের দিক ব্যবহার করে থ্রু বাড়ালেন ডি’ মারিয়ার দিকে। তাতেই পুরো রক্ষণ ফাঁকা হয়ে গেল বিপক্ষের। অনেক সময় নিয়ে বল জালে পাঠালেন মারিয়া। ২-১ গোলে এগিয়ে গেল পিএসজি।
যোগ করা সময়ে আবারও মেসির জাদু। তাঁর ক্রস থেকে হেডে গোল করলেন মারকিনিওস। মেসির গোল সহায়তার হ্যাটট্রিকে পিএসজি ঝলমল করে উঠেছে।
পিএসজি-র হয়ে এ ম্যাচে অভিষেক হল রিয়ালের প্রাক্তন তারকা সার্জিও রামোসের। মেসির সঙ্গে প্রথমবারের মতো একই একাদশে থাকার কাজটা করা হচ্ছিল না রামোসের। পিএসজিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই চোটে ভুগছেন তিনি। রামোস মাঠে নামলেন এদিনই।
🅰️ A hat-trick of assists for Lionel Messi… but Paris lose Neymar to injury in comeback win at St-Étienne. #UCL pic.twitter.com/PTs9A90WqP
— UEFA Champions League (@ChampionsLeague) November 28, 2021
রামোস নন, ম্যাচের কেন্দ্রে রইলেন মেসিই। মেসির সহযোগিতায় দলকে রক্ষা করলেন রক্ষণে রামোসের সঙ্গী মারকিনিওস। ২৩ মিনিটেই পিছিয়ে পড়েছিল পিএসজি। চমৎকার এক গোল করছিলেন ডেনিস বুয়াঙ্গা। জবাবে মেসি-নেমার-এমবাপ্পেদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিচ্ছিলেন এতিয়েন গোলরক্ষক এতিয়েন গ্রিন।
৪৫ মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লেন টিমোতি কোলোজেজাক। মেসির নিখুঁত ফ্রি–কিক থেকে হেড করে দলকে সমতায় ফিরিয়েছেন পিএসজি অধিনায়ক।
এদিকে, এদিন এতিয়েনের বিরুদ্ধে প্যারিস সঁ জঁ-র ম্যাচে নেমার ভয়ঙ্কর চোট পান। মাঠেই কাঁদতে দেখা যায় তাঁকে স্ট্রেচারে করে বাইরে নিয়ে যান মাঠ কর্মীরা। এর আগেও বারবার ভয়ঙ্কর চোট পেয়েছেন তিনি। এ বারও মনে করা হচ্ছে দীর্ঘ দিন মাঠের বাইরে থাকতে হবে তাঁকে।
নেমারের পায়ে বল থাকার সময় এতিয়েনের লোইস ডিয়োনি পিছন থেকে ট্যাকল করেন তাঁকে। নেমারের বাঁ পা দুমড়ে যায়। চিৎকার করে শুয়ে পড়েন নেমার। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর দিকে ছুটে যান মেসি, রামোস, ডি’মারিয়ারা। সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসাও শুরু হয়। নেমার পরে যদিও ইনস্টাগ্রামে জানিয়েছেন, যে কোনও খেলোয়াড়ের জীবনেই চোট আসে, আবারও আমি শক্তিশালী হয়ে ফিরতে চাই।’’ তাঁর কথায় নেমার প্রেমীরা আশায় রয়েছেন।