দ্য ওয়াল ব্যুরো: দু’গোলে এগিয়ে থেকেও জেতা ম্যাচ হাতছাড়া করল ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। প্রতিপক্ষ পিএসজি। প্যারিস থেকে ফাঁকা হাতেই ফিরতে হল পেপ গোয়ার্দিওলার দলকে। যার জেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের লড়াই থেকে ছিটকে যাওয়ার মুখে তারা। 

এদিন ‘পার্ক দে প্রিন্সেসে’ হেভিওয়েট লড়াই গোড়া থেকে সেভাবে দানা বাঁধেনি। গোলশূন্য অবস্থায় ফার্স্ট হাফ শেষ হয়। দ্বিতীয় অর্ধে খেলার মোড় ঘুরে যায়। পঞ্চাশ মিনিটের মাথায় আচমকা ডিফেন্স থেকে উঠে আসেন আকেঞ্জি। তাঁর শট পিএসজি রক্ষণের পা ঘুরে জ্যাক গ্রিলিসের নাগালে চলে আসে। সেখান থেকে জোরালো শটে জালে বল জড়াতে ভুল করেননি ইংল্যান্ডের মিডফিল্ডার। ৫৩ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান স্ট্রাইকার আর্লিং হালান্ড। 
তিন মিনিটে দু’গোল করার পর যখন মনে করা হচ্ছিল ম্যাচ পকেটে পুরতে চলেছে পেপ ব্রিগেড, ঠিক তখনই ঘুরে যায় ম্যাচের মোড়। ৫৬ মিনিটে ব্যাবধান কমান উসমান ডেম্বেলে। চার মিনিট বাদে উইংগার ব্র্যাডলি বারকোলার গোলে সমতা ফেরে।

এরপর ম্যাচ থেকে ক্রমশ হারিয়ে যেতে থাকে ম্যাচ সিটি। কোভাচিচ, ডে ব্রুইন উঠে যাওয়ায় মিডফিল্ড ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। পিএসজির ভিটিনহা তখন একা হাতে মাঝমাঠ শাসন করছেন। যার দৌলতে ৭৮ মিনিটের মাথায় মিডফিল্ডে প্রেসিংয়ের সৌজন্যে জোয়াও নেভেস গোলের দরজা খুলে ফেলেন। ম্যাচে প্রথমবারের জন্য এগিয়ে যায় লুই এনরিকের টিম। 

ডিফেন্সকে বাজি রেখে তেড়েফুঁড়ে আক্রমণে যাওয়া ছাড়া সিটির হাতে আর কোনও উপায় ছিল না। সিটির মাঝমাঠ আর রক্ষণে তৈরি হওয়া ফাঁককে কাজে লাগান লুকাস হার্নান্ডেজরা। ৯০ মিনিট পেরিয়ে যাওয়ার পর চার নম্বর গোল করে ম্যান সিটির কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে ফেলেন গঞ্জালো র‍্যামোস।

এই হারের জেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মূলপর্বে ওঠার রাস্তা কঠিন করে ফেলল পেপের টিম। যা পরিস্থিতি, তাতে প্রাথমিক স্তরের শেষ ম্যাচে ক্লাব ব্রুজের বিরুদ্ধে জিততেই হবে তাদের। নতুবা টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাবে দু’বছর আগের চ্যাম্পিয়ন ম্যাঞ্চেস্টার সিটি।