
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অসমের লভলিনা বরগোঁহাই (Lovlina Borgohain) বক্সিংয়ে (Boxing) ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন টোকিও অলিম্পিকে। দেশে ফিরতেই শুরু সংবর্ধনা আর অনুষ্ঠান। কিন্তু এই এত সংবর্ধনার চাপে তাঁর প্রতিদিনের রুটিনে ব্যাঘাত পড়ছে, ফোকাস যাচ্ছে নষ্ট হয়ে। ফলে সম্মান ও উৎসাহ দেখানোর নামে এই ‘অত্যাচার’ তাঁর কেরিয়ারে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। একথা নিজেই স্পষ্ট জানিয়েছেন লভলিনা।
তিনি জানিয়েছেন, অলিম্পিকের পরে তাঁর প্রতি সকলের অনেক প্রত্যাশা। কিন্তু সে জন্য যতটা অনুশীলন প্রয়োজন, তা তিনি করতে পারছেন না এই লাগাতার সংবর্ধনার চাপে।
শনিবার কমনওয়েলথ গেমসের ট্রায়াল পর্ব পেরিয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। সেটার প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখতে চান না লভলিনা। তাই হইহুল্লোড় নিয়ে স্পষ্টতই বিরক্তি প্রকাশ করলেন তিনি।
লাভলি লভলিনা! শাড়ি পরে মোহময়ী, তাক লাগালেন অলিম্পিক পদকজয়ী বক্সার
মনঃসংযোগের অভাব যে ঘটছে, তা আগেও আরেকবার বলেছিলেন লাভলিনা। টোকিও অলিম্পিক থেকে ফেরার পরেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে নেমেছিলেন লভলিনা। কিন্তু সেখানে সাফল্য পাননি তিনি। টুর্নামেন্টের শুরুর দিকেই ছিটকে গিয়েছেন। তখনই নিজের ব্যর্থতার জন্য মনোযোগের অভাবকে দায়ী করেছিলেন তিনি। বলেওছিলেন, অলিম্পিকের পরে যেভাবে তাঁকে নিয়ে নাচানাচি হয়েছে, তা তাঁর মাথা ঘুরিয়ে দিয়েছিল।
কঠিন পরিশ্রম ও উচ্চতাই লভলিনাকে সবার থেকে আলাদা করেছে
এদেশে যে কোনও খেলায় সাফল্য বা পরিচিতি পেলে সেই খেলোয়াড়কে নিয়ে উন্মাদনার মাত্রা বেশিই হয়। আর তা যদি হয় অলিম্পিকের মতো বিশ্বমানের কোনও প্রতিযোগিতার সাফল্য, তাহলে তো কথাই নেই। সংবাদমাধ্যমের প্রচার, নানা সংস্থার ব্র্যান্ডিং, সংবর্ধনার বহর– সব মিলিয়ে অ্যাথলিটদের প্র্যাকটিসের মনোযোগ যায় কমে।
তেমনটাই হয়েছে লভলিনার। তবে এবার কমনওয়েলথ গেমসে আর সে সুযোগ দিতে চান না তিনি। চেষ্টা করছেন, সব ভুলে পুরোপুরি পারফরম্যান্সে মনোনিবেশ করার, তাই মুখের উপর জানিয়ে দিয়েছেন নিজের সমস্যা।
অসমের ডেপুটি পুলিশ সুপার পদে নিযুক্ত হলেন অলিম্পিক পদকজয়ী বক্সার লভলিনা