শেষ আপডেট: 18th May 2024 19:54
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভারতীয় ফুটবলে কে এগিয়ে বাইচুং ভুটিয়া না সুনীল ছেত্রী? এই নিয়ে আলোচনা আগেও হতো, আর এই সময়ে আরও বেড়েছে। তার একটাই কারণ, সুনীলের জাতীয় দল থেকে আচমকা অবসর ঘোষণা।
ভারতীয় ফুটবলে সুনীলের বিকল্প কে, এই নিয়ে ভাবনায় ভারতীয় ফুটবলের শুভান্যুধায়ীরা। অনেকেই মানছে, সুনীল ছিলেন দেশের ফুটবলের সেরা আইকন। শুধু তাই নয়, তিনি ছিলেন পোস্টার বয়। তিনি চলে যাওয়ার পরে সেই স্থান কে নেবেন, সেই নিয়ে ভাবনায় প্রাক্তন ফুটবলার থেকে কর্তারা।
শনিবার মধ্য কলকাতার এক নামী হোটেলে আইএফএ-র অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়। ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম সেরা প্রাক্তন গোলরক্ষক জানিয়েছেন, ‘‘আমিও এই বিষয়টি নিয়ে ভাবনায়। তবে চুনী গোস্বামীর পরে সাত ও আটের দশকে বহু শিল্পী ফুটবলার এসেছিলেন। আমরা পেয়েছি কৃশানু দে-কে। তারপরে এসেছে বাইচুং ভুটিয়া, ও চলে যেতে দীর্ঘদিন টেনেছে সুনীল। আমার আশা এই স্থানও দ্রুত পূরণ হবে।’’
বাইচুং না সুনীল, কে স্ট্রাইকার হিসেবে এগিয়ে থাকবেন? ভাস্কর বলছেন, ‘‘এভাবে তুলা করা যায় না। পরিস্থিতি সবক্ষেত্রে সমান থাকে না। তবে গোল করার দিক থেকে বাইচুংয়ের থেকে সুনীল অনেক বেশি কার্যকরী। কারণ তথ্য সেই কথাই বলছে। যে ছেলেটা মেসি, রোনাল্ডোর সঙ্গে গোলের দিক থেকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পাল্লা দিতে পারে, সে আর যাইহোক সাধারণ নয়। আমার ভোট সুনীলের দিকেই থাকবে।’’
শনিবারের অনুষ্ঠানে আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্তের কথাতেও একই ভাবনা। তিনিও নিজের বক্তব্য তুলে ধরেছেন সুনীলের পরে বিকল্প নেই, সেই নিয়ে। অনির্বাণের কথায়, ‘‘সুনীলের পর কে, সেটি আমরা ভাবতেও পারছি না। কারণ বাংলা থেকেও সেই মানের ফুটবলার উঠে আসছে না। তাই আমরা শ্রাচী গ্রুপের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই বিষয়টি নিয়েও ভাবব।’’
ভাস্কর অবশ্য হতাশ হতে নিষেধ করেছেন। তিনি নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে জানান, ‘‘আমিও তো ১৯৭৫ সালে মোহনবাগানের হয়ে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে পাঁচ গোল খেয়েছিলাম। তারপর তো আমি দমে যাইনি, বরং তার পরেরবছরই দেশের একনম্বর গোলরক্ষক হয়েছিলাম। ১৯৮২ সালে এশিয়ান গেমসে দলের অধিনায়কও হয়েছিলাম।’’