ইয়ানিক সিনার
শেষ আপডেট: 28th January 2025 11:44
দ্য ওয়াল ব্যুরো: তবে কি আগামি দু’বছরের জন্য গ্র্যান্ড স্ল্যাম তো দূর অস্ত, কোনও ধরনের প্রতিযোগিতাতেই নামতে দেখা যাবে না ইয়ানিক সিনারকে? সদ্য অস্ট্রেলিয়ান ওপেনজয়ী ইতালীয় টেনিস তারকার কেরিয়ার ঘিরে ঘনিয়েছে আশঙ্কার মেঘ। নেপথ্যে ডোপিং কেলেঙ্কারি।
রবিবারই জার্মানির আলেকজান্ডার জেরেভকে হারিয়ে মরশুমের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছেন সিনার। রড লেভার এরিনায় সেই সাফল্যের রেশ থাকতে থাকতেই নির্বাসনের ভ্রুকুটি সামনে দেখা দিয়েছে। উল্লেখ্য, গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে সিনারকে ডোপিং বিতর্ক তাড়া করে গেছিল। কিন্তু কোর্টের বাইরের সমস্যাকে তিনি লড়াইয়ের ময়দানে ছাপ ফেলতে দেননি। জেরেভের বিরুদ্ধে ফাইনালই তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ। নিতান্ত একপেশে ম্যাচ ৬-৩, ৭-৬, ৬-৩ স্ট্রেট সেটে জিতে নিয়েছেন সিনার।
তবে ফাইনাল মিটতে না মিটতেই ডোপিংয়ের ইস্যুটি সামনে চলে আসে। ট্রফি উত্তোলনের পর সাংবাদিক সরাসরি প্রশ্ন ছুড়ে দেন সিনারকে—সর্বোচ্চ ক্রীড়া আদালতে (ক্যাস) আসন্ন শুনানি নিয়ে তিনি কী ভাবছেন? জবাবে সিনার সাফ জানান, ‘এটা বলা খুবই মুশকিল। আমি এই মুহূর্তে এসব নিয়ে কিছু ভাবছি না। একটা দুর্দান্ত ফর্মের মধ্যে আছি। এই সময়টা আমি উপভোগ করতে চাই। আর হিয়ারিংয়ের একটা দিন স্থির হয়েছে। আমরা সকলেই সেটা জেনে গেছি। কিন্তু আনন্দ উদযাপন ছাড়া আপাতত আমি কিছুই ভাবছি না।‘
উল্লেখ্য, গত বছর ইউএস ওপেন জেতার পরই সিনারের ডোপিংয়ে জড়ানোর কথা সামনে আসে। বয়ে যায় বিতর্কের ঝড়। টেনিসের দুর্নীতি দমন শাখা দাবি করে, দু’বার ডোপ টেস্ট করা হয়েছে আর দু’বারই সেই পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছেন সিনার। স্বপক্ষে বলতে গিয়ে সিনার জানান, তিনি ইচ্ছে করে কোনও স্টেরয়েড নেননি। তাঁর শরীরে ক্ষত দেখা গেছিল। আর সেই ক্ষতস্থান নিরাময় করতে গিয়ে স্প্রে প্রয়োগ করেছিলেন তাঁর ফিজিও। তখনই কোনওভাবে স্টেরয়েড রক্তে সংক্রামিত হয়ে থাকতে পারে। ইচ্ছেকৃত অপরাধ না হওয়ার কারণে ইতালির টেনিস তারকা সে যাত্রা বেঁচে যান। যদিও অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি (ওয়াডা) এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় ‘ক্যাস’-এর দরবারে পুনরায় আপিল করে। আগামি ১৬ ও ১৭ এপ্রিল তার শুনানি হওয়ার কথা।
প্রসঙ্গত, স্প্রে-এর তত্ত্ব সামনে এনে নিজের পিঠ বাঁচালেও গোটা বিতর্কের মধ্যে নিজের সাইকোথেরাপিস্ট গিয়াকোমো নালদি ও ট্রেনার উমবার্তো ফেরারাকে ছাঁটাই করেছেন সিনার। অনিচ্ছাকৃত সংক্রমণের অভিযোগে দুজন ইতিমধ্যে অভিযুক্ত। যদিও এই আবহে মুখ খুলেছেন সাইকোথেরাপিস্ট গিয়াকোমো। তিনি বলেছেন, ‘আমি আশাবাদী, খুব দ্রুত গোটা ঘটনার আসল ছবি সামনে আসবে। এখনও পর্যন্ত সাধারণ মানুষ যেভাবে বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন, তাতে মন হচ্ছে আমিই একমাত্র দোষী। কিন্তু প্রকৃত ঘটনাটি তেমন নয়। রায়ের বিবরণটি যাঁরা পড়েছেন, তাঁরা সেটা জানেন।‘