বৈভব সূর্যবংশী ও রোহিত শর্মা
শেষ আপডেট: 2 May 2025 12:52
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন বৈভব সূর্যবংশী (Vaibhav Suryavanshi)। রাজস্থান রয়্যালসের (Rajasthan Royals) ওপেনার গুজরাতের (Gujrat Titans) বিরুদ্ধে মাত্র ৩৫ বলে শতরান করে সারা দেশে চায়ের কাপে তুফান তোলেন। কিন্তু গতকাল সেই তুফানে ভাটা পড়েছে। উঠতে শুরু করেছে একগুচ্ছ প্রশ্ন। তৎসহ আশঙ্কা। তবে কি খুব তাড়াতাড়ি নায়কের সম্মান দেওয়া হয়েছিল বৈভবকে? আরও বেশি পরিণতি দেখানো প্রয়োজন? তড়িঘড়ি এতটা বন্দনা অনুচিত? তাতে লাভের চাইতে ক্ষতিই বেশি? এক ইনিংস ভাল খেলার সুবাদে যেভাবে চর্চা শুরু হয়েছিল বছর চোদ্দোর কিশোর ব্যাটসম্যানকে নিয়ে, সেটা কি আখেরে তার উন্নতির পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারে?
গতকাল শূন্য রানে আউট হওয়ার পর বৈভবকে নিয়ে আশঙ্কা জানিয়েছেন, সতর্ক করেছেন সুনীল গাভাসকার (Sunil Gavaskar)। এর আগে সবাইকে আরেকটু ধীরেসুস্থে, রয়েসয়ে প্রশংসা করার নিদান দিয়েছিলেন বৈভবের মেন্টর রাহুল দ্রাবিড়ও (Rahul Dravid)!
যদিও মুম্বই ম্যাচে পরাস্ত হয়ে মাঠ ছাড়ার পর পিঠ চাপড়ে বৈভবকে উৎসাহ জুগিয়েছেন রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। গতকাল দুই দলের ক্রিকেটাররা যখন সৌজন্য বিনিময় করছিলেন, সেই সময় সমস্তিপুরের কিশোরকে দেখে এগিয়ে আসেন মুম্বইকর। হ্যান্ডশেক করেন। চাপড়ে দেন পিঠও। এই ঘটনার ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া মাত্র অনেকে রোহিতের সৌজন্যকে কুর্নিশ জানান। কমেন্ট্রি বক্সে বসা রবি শাস্ত্রী বলেন, ‘বৈভব আরও শিখবে। রোহিতের কথা ওকে উৎসাহ জোগাবে।‘
Rohit Sharma encouraging Vaibhav Suryavanshi ❤️
— Johns. (@CricCrazyJohns) May 1, 2025
- A lovely gesture by Indian Captain. pic.twitter.com/QHjcCNWkUA
সমস্তিপুরের কিশোরের উচিত এবার ধারাবাহিকতা দেখানো। নিজেকে আরও শানিত করে চলা। এর জন্য পরামর্শ দিয়েছেন সুনীল গাভাসকার। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, ও ধীরে ধীরে উন্নতি করবে। রাহুল দ্রাবিড়কে পাশে পেয়ে বুঝে যাবে, কীভাবে ইনিংস সাজাতে হয়। কিন্তু এই অবস্থায় বৈভবকে প্রশংসা করে আকাশে তুলে দেওয়া ঠিক নয়।‘
প্রথম ম্যাচ থেকেই রাজস্থান রয়্যালসের ওপেনারের অকুতোভয় ব্যাটিং নিয়ে ক্রিকেট মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। যদিও এর মধ্যেই আশঙ্কার কালো মেঘ জমতে দেখছেন গাভাসকার। বলেন, ‘প্রথম ম্যাচের প্রথম বলেই বৈভব ছক্কা মারে। কিন্তু এটাই প্রতিটি ম্যাচের ধরন হয়ে ওঠা ঠিক নয়। সমস্ত ম্যাচে প্রথম বলে ছক্কা মারলে অভিজ্ঞ বোলাররা জারিজুরি ধরে ফেলবে। শর্ট বল করবে। তখনই ও আউট হয়ে হয়ে যেতে পারে। তারপর অহেতুক ভাবা, বেশি চিন্তা করা শুরু হবে।‘