দ্য ওয়াল ব্যুরো: বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ডিএলএসের (DLS) ভিত্তিতে ওয়াংখেড়েতে মুম্বই বধ করেছে গুজরাত টাইটানস (Gujrat Titans)। আর এই জয়ের ফলে তারা উঠে পড়েছে পয়েন্ট টেবিলের মগডালে (Point Table Topper)। হেরে গিয়ে মুম্বই (Mumbai Indians) নেমে গিয়েছে চতুর্থ স্থানে।

মঙ্গলবার শেষ ওভারের টানটান উত্তেজনায় গুজরাত টাইটান্স জিতেছে তিন উইকেটে। ডিএলএস অনুয়ায়ী গুজরাতকে জিততে হলে ১৯ ওভারে করতে হত ১৪৭ রান। এর আগে মুম্বই ২০ ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রান করে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ স্কোর উইল জ্যাকসের (৫৩ রান)।

বাণিজ্য নগরীর ফ্র্যাঞ্চাইজিকে হারিয়ে মরশুমের অষ্টম জয়টি তুলে নিয়েছে জিটি, সেই সঙ্গে ১৬ পয়েন্ট এবং ০.৭৯৩ নেট রান রেট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ স্থানে চলে এসেছেন শুভমন গিলরা। ফলে দ্বিতীয় স্থানে নেমে গিয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (RCB)। অন্যদিকে, মুম্বই ১২টি ম্যাচের মধ্যে সাতটি জিতে এবং পাঁচটি হেরে চতুর্থ স্থানে পৌঁছেছে। সেই সঙ্গে টানা ছয় ম্যাচ জয়ের পর অবশেষে পান্ডিয়া ব্রিগেডের জয়রথ থামল।

মঙ্গলবার ১৮তম ওভারের পর বৃষ্টি (Rain) শুরু হয় এবং খেলা বন্ধ হয়ে যায়। সেই সময়, জেরাল্ড কোয়েটজি এবং রাহুল তেওয়াটিয়া ৫ রান করে ক্রিজে ছিলেন। গুজরাটের স্কোর ছিল ১৩২/৬। জয়ের জন্য শেষ দুই ওভারে তাদের ২৪ রানের প্রয়োজন ছিল। তবে বৃষ্টির কারণে খেলা বিলম্বিত হয় এবং ডিএলএস পদ্ধতি অনুসারে তাদের ১৯ ওভারে ১৪৭ রানের নতুন লক্ষ্য দেওয়া হয়।

১৯তম ওভারের উত্তেজনা:

মুম্বই অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া বল তুলে দেন দীপক চাহারের হাতে। স্ট্রাইক ছিল রাহুল তেওয়াটিয়ার হাতে। নন স্ট্রাইকারের প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন জেরাল্ড কোয়েটজি। জয়ের জন্য গুজরাটের ছয় বলে প্রয়োজন ছিল ১৫ রান।

• চাহারের প্রথম বলেই তেওয়াটিয়া চার মারেন।
• দ্বিতীয় বলে তেওয়াটিয়া এক রান নেন। গুজরাতের চার বলে তখন প্রয়োজন ১০ রান।
• তৃতীয় বলে জেরাল্ড কোয়েটজি দুর্দান্ত ছক্কা মারেন এবং লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় তিন বলে চার রান।
• চতুর্থ বলে, কোয়েটজি ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগের দিকে বল পাঠিয়ে এক রান নেন। যদিও আম্পায়ার এই বলটিকে নো বল ঘোষণা করেন।
• ফ্রি হিটে রাহুল তেওয়াটিয়া এক রান নিলে স্কোর টাই হয়ে যায়। গুজরাটের তখন জয়ের জন্য প্রয়োজন দুই বলে এক রান।
• পঞ্চম বলে কোয়েটজি নমন ধীরের হাতে ক্যাচ তুলে ডাগআউটে ফিরে যান। জয়ের জন্য প্রয়োজন দাঁড়ায় এক বলে এক রান।
• শেষ বলে, আরশাদ খান মিড-অফের দিকে বল পাঠিয়ে দলকে প্রত্যাশিত জয় এনে দেন। ডিএলএস পদ্ধতির ভিত্তিতে তিন উইকেটে জিতে যায় গুজরাত।