দ্য ওয়াল ব্যুরো: আইপিএল (IPL 2025) থেকে ইতিমধ্যে বিদায়ঘণ্টা বেজে গিয়েছে। বাকি যতটুকু লড়াই, চেন্নাই সুপার কিংসের (CSK) কাছে সবই সম্মানরক্ষার। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি বদলের কোনও সংকেত নেই।

গতকালই যেমন ভাল খেলেও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (RCB) কাছে হারতে হল সিএসকে-কে। কাজে এল না আয়ুষ মাত্রের (Ayush Mhatre) দুর্দান্ত লড়াই, জাদেজার (Ravindra Jadeja) নিঃস্বার্থ অংশগ্রহণ। ২১৪ রান তাড়া করতে নেমে দু’রান আগেই থমকে গেল চেন্নাই। ১১ ম্যাচের ন’টিতে হেরে পয়েন্ট তালিকায় লাস্ট বয় ধোনিরা।

ম্যাচ হেরে যথারীতি নিজের ঘাড়েই দোষ টানলেন মাহি। ফিনিশার ধোনি এখন কেরিয়ারের গোধূলিলগ্নে দাঁড়িয়ে। তাই ব্যাটিং অর্ডারের নীচে নামা বা উপরে ওঠায় কোনও হেরফের হচ্ছে না। এদিনও হয়নি। শিবম দুবের আগে নিজেকে প্রোমোট করেছিলেন। কিন্তু ৮ বলে ১২ রান করে ড্রেসিং রুমে ফিরে যান।

লড়াই শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বললেন, ‘যখন ব্যাট করতে নেমছিলাম, তখন যে ধরনের ডেলিভারিতে যতটুকু রান তুলেছি তাতে এখন মনে হচ্ছে আমার আরও বেশি রান তোলা উচিত ছিল। তাতে দলের উপর চাপ কমত।‘

যদিও শুধু নিজেকে খলনায়ক বানিয়েই থেমে থাকেননি ধোনি। দলের ব্যাটারদেরও কাঠগড়ায় তুলেছেন। সিএসকের রান আটকে রাখতে লো ফুল টসকে অস্ত্র করেন আরসিবি বোলাররা। এই ধরনের ডেলিভারির মোক্ষম অ্যান্টিডোট প্যাডেল শট। এই প্রসঙ্গে মাহির বক্তব্য, ‘সবাই ওই শট খেলতে পারে না। আধুনিক জমানার ব্যাটসম্যানদের আরও বেশি করে প্যাডেল শট প্র্যাকটিস করা উচিত। জাদেজা এটা ভালভাবে খেলেছে। সব মিলয়ে ব্যাটিংয়ে আমরা কিছুটা পিছিয়েই রয়েছি। তবে আজ আগের চাইতে উন্নতি হয়েছে।‘

একদিকে ধোনি যখন হারের ময়নাতদন্তে ব্যস্ত, তখন অন্যদিকে বেঙ্গালুরু শিবিরের অধিনায়ক রজত পাটিদারের মুখে বোলারদের গুণকীর্তন। বিশেষ করে উঠে এসেছে যশ দয়ালের নাম। রজতের কথায়, ‘লড়াই হাড্ডাহাড্ডি ছিল। তবে ব্যাটসম্যানদের আলাদা করে সম্মান দিতে হবে। বোলাররাও যথেষ্ট সাহসের সঙ্গে বল করেছে। যশ দলের অন্যতম বোলার। ডেথ ওভার স্পেশালিস্ট। তাই শেষ ওভারে ওর হাতে বল তুলে দিতে দু’বার ভাবতে হয়নি। গত বছরও ও ভাল খেলেছিল। আমি যশের জন্য সত্যি খুব খুশি।‘

যশ ক্লাইম্যাক্সের নায়ক হলে জয়ের মূলসুরটি বেঁধে দেন রোমারিও শেফার্ড। বিরাট কোহলি ফিরে যাওয়ার পর আরসিবির রান রেট যখন আচমকা পড়ে যায়, মনে হচ্ছিল ১৭০-এর আশপাশেই থমকে যাবে ইনিংস, তখনই বেঙ্গালুরুর ময়দানজুড়ে বয়ে যায় শেফার্ড-ঝড়! মাত্র ১৪ বলে ৫৩ রান করে আইপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন রোমারিও। ম্যাচের পর রজতের মুখেও তাই শোনা গিয়েছে রোমারিও-বন্দনা। শেফার্ড নিজেও দলের জয়ে ভূমিকা পালন করতে পেরে উচ্ছ্বসিত। বলেন, ‘আজ সুযোগ পেয়েছিলাম। যার জন্য বহু দিন ধরে অপেক্ষা করেছি, অবশেষে তা হাতে এসেছে। ব্যাট হাতে নেমে ভালভাবে ফিনিশ করার জন্য মুখিয়ে ছিলাম।‘