গ্যারেথ সাউথগেট
শেষ আপডেট: 5 May 2025 18:56
দ্য ওয়াল ব্যুরো: তিনি নিজে বল পায়ে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে নেমেছেন। কোচের ভূমিকায় ঐতিহাসিক ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে পা রেখেছেন। দেখেছেন দর্শকদের উন্মাদনা। জনপ্লাবন। সমর্থকদের উচ্ছ্বসিত কোরাস কীভাবে ফুটবলের গ্যালারি ছাপিয়ে যায়, সেটা বিলক্ষণ জানেন গ্যারেথ সাউথগেট।
ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ম্যানেজার আপাতত দায়িত্ব ছেড়ে নতুন চ্যালেঞ্জের খোঁজে। ইতিমধ্যে আইপিএল দেখতে ভারতে এসেছেন। গতকাল ইডেনে কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম রাজস্থান রয়্যালস ম্যাচ দেখতে উপস্থিত হন সাউথগেট। রাজস্থানের জার্সি গায়ে লড়াই উপভোগ করলেও শেষমেশ রুদ্ধশ্বাস টক্কর দেখে আপ্লুত তিনি। জানালেন ক্রিকেট নিয়ে তাঁর ভাল লাগার কথা।
স্বাভাবিকভাবেই উঠে এসেছে ক্রিকেট বনাম ফুটবলের প্রসঙ্গ? কোন খেলায় উত্তেজনা বেশি? ইডেনের জনগর্জন শুনে বাকস্তব্ধ গ্যারেথ বলেছেন, ‘যখন ওয়েম্বলিতে খেলা হয় দর্শকরা মাঝেমধ্যে চুপ করে যায়। আমি সব সময় ক্রিকেটের সমর্থক, অনুরাগী। বাচ্চা বয়সে সারা দিন ধরে টেস্ট ম্যাচ দেখতাম। একথা বলার ফাঁকে ফিরে যাচ্ছি কপিল দেব, সুনীল গাভাসকারদের জমানায়। যখন ইংল্যান্ডের হয়ে খেলতাম তখন অনেক ইংরেজ ক্রিকেটার ও ইংল্যান্ড ক্রিকেট টিমের খবর রাখতাম। গত বছর বেন স্টোকস দেখা করতে আসে। ক্রিকেট দল নিয়ে অনেক কথা বলেছিল। খেলোয়াড়দের পাশাপাশি কোচেদের সংস্পর্শে এলেও খেলা নিয়ে অনেক কিছু জানা যায়। আর এই কারণেই আমি এখানে এসেছি।‘
ফুটবলার হতে গেলে যে শুধুই ফুটবল থেকে প্রেরণা নিতে হবে—এমনটা মানতে নারাজ সাউথগেট। বিভিন্ন খেলাধুলো থেকেই কমবেশি প্রভাবের ছাপ পড়ে। তিনি বলেন, ‘আজ যে কোনও খেলা দ্রুত বদলে যাচ্ছে। জিনিসটা এতটাই বিস্ময়কর ও চমৎকার যে নিজের পরিচিত বৃত্তের বাইরের খেলাতেও আজ অনেকে পা বাড়াচ্ছে—মেডিক্যাল টিম, কোচ, খেলোয়াড়—সকলে। সমস্ত খেলা থেকেই অনুপ্রেরণা পাওয়া যায়। আমি ক্রিকেট ভালবাসি। ভারতে এসেও ভাল লেগেছে আমার। এই প্রথম এদেশে এলাম। সত্যি দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা।‘
ইডেনের স্ট্যান্ডে বসে প্রভূত চার-ছক্কার বর্ষণ দেখেছেন সাউথগেট। কট্টর ক্রিকেটভক্ত হিসেবেও নিজের পরিচয় দিয়েছেন। কিন্তু ওভার বাউন্ডারি মারার দক্ষতায় নিজেকে দশে কত নম্বর দেবেন? প্রশ্ন কানে যেতেই প্রাক্তন ইংল্যান্ড ম্যানেজারের সহাস্য জবাব: ‘এক’।