অক্ষর প্যাটেল ও হার্দিক পান্ডিয়া
শেষ আপডেট: 14th April 2025 14:45
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রবিবার তীরে এসে তরী ডুবেছে দিল্লি ক্যাপিটালসের। প্রথম চারটি ম্যাচ জিতলেও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে হেরে জয়ের সরণি থেকে ছিটকে গিয়েছে তারা। তবে শেষ ওভার পর্যন্ত ম্যাচের ভাগ্য পেন্ডুলামের মতো ঘুরছিল। কিন্তু রান আউটের হ্যাটট্রিকে অধরা থেকে যায় দিল্লির টানা পাঁচ ম্যাচ জয়ের স্বপ্ন।
প্রথমে ব্যাট করে মুম্বাই ২০ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রান করে। জবাবে, দিল্লির স্কোর এক পর্যায়ে ছিল ১৬ ওভারে ছয় উইকেটে ১৬৪ রান। তাদের ২৪ বলে ৪২ রানের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু ১৮ এবং ১৯তম ওভারে মোট চারটি উইকেট পতন দিল্লির জয়ের আশা শেষ করে দেয়।
ম্যাচের পর, দিল্লির অধিনায়ক অক্ষর প্যাটেল পরাজয়ের জন্য দায়ী করলেন ব্যাটারদের। তিনি বলেন, ব্যাটিংয়ের দিক থেকে, এই ম্যাচটি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভুলে যেতে হবে। তবে চলতি আইপিএল মরসুমের দ্বিতীয় জয়ের পর মুম্বই অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াকে খুব খুশি দেখাচ্ছিল। বিশেষত তিনি উচ্ছ্বসিত ছিলেন ৩৭ বছর বয়সি লেগস্পিনার কর্ণ শর্মাকে নিয়ে। কর্ণ ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ও হন।
করুণ নায়ার এবং কেএল রাহুল যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন, মনে হচ্ছিল দিল্লির জয় শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। সহজেই ম্যাচটি জিতে নেবে হেমাঙ্গা বাদানির ছাত্ররা। তবে করুণ আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দিল্লি তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। ১৯তম ওভারে, দিল্লি টানা তিন বলে তিনটি উইকেট হারায়। অবাক করার বিষয় হল, তিনটিই রান আউ। ওভারের চতুর্থ বলে আশুতোষ শর্মা, পঞ্চম বলে কুলদীপ যাদব এবং শেষ বলে মোহিত শর্মা রান আউট হন। এর ফলে দিল্লির ইনিংস শেষ হয় ১৯৩ রানে।
পরাজয়ের পর অক্ষর বলেন, 'ম্যাচটি আমাদের পকেটেই ছিল। মিডল অর্ডারে কয়েকজন ভাল বলে আউট হয়েছে। আবার কেউ কেউ খারাপ শট খেলে উইকেট দিয়ে এসেছে। প্রতিবার নিচের সারির ব্যাটসম্যানদের উপর ছেড়ে দিতে পারেন না। খুব বেশি ভাবার দরকার নেই। এটা সেই খারাপ দিনগুলোর মধ্যে একটি। অর্ধেক ম্যাচের জন্য আমি খুশি ছিলাম। বল শুরুতে থেমে যাচ্ছিল কিন্তু পরে পিচ ব্যাটারদের সহায়ক হয়ে ওঠে এবং তারপর শিশির আমাদের আরও সাহায্য করে। আমাদের তিনজন স্পিনারের মধ্যে দু'জন পাওয়ারপ্লে এবং ডেথ মোডেও বল করতে পারে। কুলদীপ অবিশ্বাস্যভাবে ভাল বোলিং করছে। ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে এই খেলাটি ভুলে যাওয়া উচিত।'
এদিকে, মুম্বই অধিনায়ক হার্দিক বলেন, 'জয় সবসময়ই বিশেষ, বিশেষ করে এই ধরণের জয়। করুণ নায়ার দুর্দান্ত ব্যাটিং করছিল এবং মনে হচ্ছিল ম্যাচটি আমাদের হাত থেকে ছিটকে যাচ্ছে। কর্ণ শর্মা অসাধারণ মনোবল দেখিয়েছেন। ম্যাচে বল হাতে সে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে। মাত্র ৬০ মিটার লম্বা বাউন্ডারি থাকা অবস্থায় বল টস করাটা অসাধারণ ছিল। আমরা কখনও হাল ছাড়িনি। আমরা বারবার বলেছি, আমরা প্রতিযোগিতায় থাকতে চাই। সবাই ভাল খেলেছে এবং আমরা আমাদের সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখতে পেরেছি।'