দ্য ওয়াল ব্যুরো: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ (Operation Sindoor) ক্ষতবিক্ষত হয়েছে পাকিস্তান। সূত্রের খবর, এই হামলায় অন্তত ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর জখম আরও ৬০। আর এর পর থেকেই মনে করা হচ্ছে প্রত্যাঘাত আসতে পারে পাকিস্তানের দিক থেকেও। তাই বেশ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করেছে ভারত সরকার।

‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পরেই দেশের কিছু বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে হিমাচলপ্রদেশের ধর্মশালা বিমানবন্দর (Dhoromshala Airport)। এই বিমানবন্দর বন্ধ থাকবে আগামী ১০ মে ভোর ৫.৩০ পর্যন্ত।

এদিকে ধর্মশালা হল পাঞ্জাব কিংসের (Punjab Kings) দ্বিতীয় হোম গ্রাউন্ড (Home Ground)। পিবিকেএস এখানকার স্টেডিয়ামেই খেলবে দিল্লি ক্যাপিটালস (Delhi Capitals) ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের (Mumbai Indiana) বিরুদ্ধে। এইম তিনটি দলই ভালমতো রয়েছে প্লে অফের দৌড়ে। তাই প্রতিটি ম্যাচই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ধর্মাশালা বিমানবন্দর বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে দিল্লি ও মুম্বই।

এই দুই দলেরই ধর্মশালায় পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে ম্যাচ বাকি আছে। কিন্তু এই অবস্থায় তাদের পক্ষে ধর্মশালায় যাওয়া অসম্ভব। বিসিসিআইও (BCCI) এখন এই সমস্যা সমাধানের উপায় খুঁজতে ব্যস্ত।

বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, ধর্মশালা থেকে সরে যেতে পারে মুম্বই ম্যাচ (Mumbai Match)। আর সেই ম্যাচ হতে পারে ডিওয়াই পাটিল (DY Patil) অথবা ব্র্যাবোর্ন (Braborne) স্টেডিয়ামে। তবে এই মুহূর্তে দিল্লি ক্যাপিটালস ধর্মশালায় থাকায় তাদের ক্ষেত্রে হয়তো কোনও সমস্যা হবে না। এদিকে দু’দিন পরে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ধর্মশালায় পৌঁছনোর কথা ছিল। কিন্তু এই অবস্থায় সেটা আর কোনওমতেই সম্ভব নয়।

এক বিসিসিআই কর্তা বলেছেন, “আপাতত আমরা অপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। চণ্ডীগড় বিমানবন্দরও বন্ধ থাকায় আমাদের হাতে আর বিকল্প নেই। দেখা যাক কী হয়। দুটো দল ইতিমধ্যেই ধর্মশালায় রয়েছে। পরের দিকে মুম্বইও আসবে। আপাতত দিল্লি বিমানবন্দর ছাড়া হাতে কোনও বিকল্প নেই। তবে সেখান থেকে সড়কপথে লম্বা যাত্রা করে ধর্মশালা পৌঁছোতে হবে। এই অবস্থায় কেন্দ্র কী নির্দেশ দেয়, সবাই এখন সে দিকেই তাকিয়ে।”