স্বস্তিকে থাকা সঞ্জুদের সামনে আজ পরীক্ষা হার্দিকের।
শেষ আপডেট: 22 April 2024 07:51
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাজারাজড়াদের আপন দেশ! ভারতীয় ইতিহাসের সবচেয়ে নামকরা, প্রবল পরাক্রান্ত নৃপতিদের খাসতালুক। ক্রিকেট দলের নামের মধ্যেও তাই একটা রাজকীয় ব্যাপার আছে। এবারের আইপিএলে চলনে-বলনেও ওই রাজকীয় ব্যাপারটাই ধরে রেখেছে রাজস্থান রয়্যালস। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের মত ধুমধড়াক্কা মার নেই। গুজরাত টাইটানসের মত ৮৯ রানে গুটিয়ে যাওয়ার ব্যাপার নেই। কলকাতার রাসেল-নারাইন-রিংকুদের মত ডেথ ওভারে টাইফুন তোলা নেই। আবার আরসিবির মত হেরে হেরে ক্লান্ত হয়ে যাওয়া তো নেই-ই। অথচ সব মিলিয়েই টুকটুক করে ঠিকই সাত ম্যাচে ছয়টাতেই জিতে নিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস।
আজ জয়পুরের সওয়াই মানসিংহ স্টেডিয়ামে মুম্বই ইন্ডিয়ানসের সামনে পড়ার আগে অনেকটাই চাপমুক্ত আছেন সঞ্জু স্যামসনরা। যশস্বী জয়সোয়াল গতবারের মত আগুনে ফর্মে নেই। সাত ম্যাচে টেনেটুনে ১২১ তুলে ম্যাড়ম্যাড় করছেন। এবারের টি-২০ বিশ্বকাপে আদৌ জায়গা হবে কিনা, জোর জল্পনা চলছে। কিন্তু সেই ধাক্কাটা পুষিয়ে দিয়েছেন জস বাটলার, রিয়ান পরাগ ও অধিনায়ক সঞ্জু নিজে। ওই যে বললাম, রাজকীয় ভঙ্গি। এখনও অবধি বাটলার, রিয়ান বা সঞ্জু কারোরই স্ট্রাইক রেট দেড়শোর আশপাশ ছাড়ায়নি। অথচ ওপেনে বাটলার আর থিতু মিডল অর্ডারে বাকি দু'জন মিলে মোট রান ৮৪৪ তুলে দিয়েছেন। এরপর আছেন সিমরণ হেটমায়ার। ওদিকে ধ্রুব জুড়েল। রভম্যান পাওয়েলকেও ভরসা করা যায়।
যশপ্রীত বুমরাহদের কাছে এইসবই ভাবনার ব্যাপার। একে তো মুম্বইয়ের অবস্থা দেখে কারোরই বিশেষ ভরসা হচ্ছে না। প্রথম তিন ম্যাচে হেরে, পরের চার ম্যাচের তিনটেতে জিতে আপাতত মুম্বই আছে সাত নম্বরে। যেরকম দল মুম্বইয়ের, তাতে কারোর বিশেষ চিন্তা থাকার কথা নয়। ঈশান কিষাণ, রোহিত শর্মা, তিলক বর্মা, অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ডিয়া, টিম ডেভিড... মোটামুটি যে কেউ ম্যাচ বের করে নেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। সূর্যকুমার যাদব চোট সারিয়ে ফিরেছেন। কিন্তু মুম্বইয়ের ভোগান্তি ঈশান কিষাণের ধারাবাহিকতার অভাব। হার্দিক অধিনায়কত্বে খানিক বেসামাল। তিলক বর্মা খানিক ভাল ছন্দে আছেন। আর আছেন চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি হাঁকানো রোহিত।
কিন্তু মুম্বইয়ের আসল পরীক্ষা হতে চলেছে বোলিং। যে যাই বলুক, মুম্বইয়ের বোলিং অন্যতম বিশ্বসেরা। মহম্মদ নবি, জেরাল্ড কোটজি ও বুমরার আক্রমণ যে কোনো সীমিত ওভারের ফর্ম্যাটে দারুণ হতে পারত। কিন্তু মুশকিল ঐ একটাই। যতই নামে দুর্দান্ত হোক, কাজে এখনও অবধি সেইরকম কিছু কমই নজরে আসছে। আজ যুজবেন্দ্র চহাল, অশ্বিন আর ট্রেন্ট বোল্টের পাশাপাশি ইমপ্যাক্টে নামা কুলদীপ সেনের পাল্লা তাঁরা দিতে পারেন কিনা, এটাই দেখার।