শেষ আপডেট: 14th April 2024 19:17
দ্য ওয়াল ব্যুরো: চেষ্টায় কোনও ত্রুটি রাখেননি সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। লখনউ সুপার-জায়ান্টসের মালিক কলকাতার, ম্যানেজমেন্টও চলে কলকাতা থেকে। ঘটনাচক্রে সঞ্জীব গোয়েঙ্কা একইসঙ্গে শতাব্দীপ্রাচীন মোহনবাগানেরও কর্ণধার। বাংলার আবেগকে পাখির চোখ করে লখনউ দল নেমেছিল সবুজ মেরুন জার্সিতে। কিন্তু নববর্ষে ফিল সল্টের দাপটে ইডেনে কার্যত দাঁড়াতেই পারল না কেএল রাহুলের দল। চার ওভার বাকি থাকতেই ম্যাচ বের করে নিলেন সল্ট ও অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার।
টসে জিতে লখনউকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। জল্পনা মতোই কুইন্টন ডি'কক তেমন কিছু করতে পারেননি। তবে ২৭ বলে ৩৯ করে দাঁড়িয়ে যান অধিনায়ক রাহুল। আয়ুষ বাদোনি ও নিকোলাস পূরণও ২৯ ও ৪৫ করে যান। কিন্তু আশা জাগাতে পারেনি লখনউ। ইডেনের এই উইকেটে ১৬১ যে খুব একটা ভদ্রগোছের টার্গেট নয় তাও বলে দিতে হবে না।
আগাগোড়া মাঠে ছিলেন শাহরুখ খান। ছিলেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কাও। কিন্তু তাঁর মোহনবাগান তাস একেবারেই কাজে এল না। এমনিতে নামের আগে 'এটিকে' বসানো নিয়ে বাগান সমর্থকরা তাঁর ওপর হাড়ে চটা ছিলেন। গত মরসুমের পর মোহনবাগানও 'সুপার-জায়ান্টস' হয়ে যাওয়ায় সেই ক্ষোভে জল পড়েছে। মোহনবাগান এই মরসুমে খেলছেও ভাল। বেঙ্গালুরু এফসিকে চার গোল মেরেছে শেষ ম্যাচে। ফলে গোয়েঙ্কা ভেবেছিলেন, সবুজ মেরুন জার্সি পরালেই শহরের বাগান সমর্থকরা হেলে যাবেন তাঁর দিকে। কিন্তু শেষ অবধি দেখা গেল, ম্যাচ শুরুর দিকে গ্যালারিতে সবুজ-মেরুন লখনউ জার্সি চোখে পড়লেও খেলা গড়াতেই গ্যালারির দখল নেয় বেগুনি-সোনালি ব্রিগেড।
ব্যাটে নেমে একাই ম্যাচের স্টিয়ারিং ধরেন ফিল সল্ট। ৪৭ বলে ৮৯ রানের তাঁর মহাকাব্যিক ইনিংসের পরে আর কাউকে কিছু ভাবতে হয়নি কেকেআরের। সঙ্গ দেন শ্রেয়স আইয়ার। টুকটুক করে ৩৮ বলে ৩৮ করেন। এই ম্যাচের বাড়তি ভরসা, ম্যাচে ফিরেছেন মিচেল স্টার্ক। ৪ ওভারে ২৮ রান দিলেও ৩ উইকেট নিয়েছেন স্টার্ক। নববর্ষে জয় দিয়েই হালখাতা করল কেকেআর।