কলকাতায় মুখোমুখি লখনউ ও কেকেআর
শেষ আপডেট: 14th April 2024 15:03
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ছবি, কবিতা, গল্প, উপন্যাস...। রবিবারের ইডেনে কলকাতা নাইট রাইডার্সের ম্যাচের আগে টুকরো টুকরো কিছু কোলাজ ঘুরে বেড়াচ্ছে ময়দানে। কত রকমের হিসেব। এক তো বাংলা নববর্ষ! হালখাতার দিন মানেই ময়দানে বিভিন্ন ক্লাবে বারপুজো। তার সঙ্গে একটা আইপিএল যুদ্ধ মানে তো ধর্মতলা অচল হয়ে যাবে। তাও যদি আর-পাঁচটা দলের সঙ্গে হ'ত! কিন্তু আজকের খেলা যে আবার কলকাতার সঙ্গে আধা-কলকাতার!
প্রতিপক্ষের নাম লখনউ সুপার-জায়ান্টস। বয়সে আইপিএলের সবচেয়ে খুদে। কিন্তু পারফরম্যান্সে ইতিমধ্যেই 'জায়ান্টস' নামের মান রেখেছে। এদিকে লখনউ দলের মালিক কলকাতার সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। গোটা ম্যানেজমেন্ট নিয়ন্ত্রিত হয় কলকাতা থেকে। এদিকে সঞ্জীব গোয়েঙ্কার গোষ্ঠী আবার কলকাতার শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাব মোহনবাগানেরও বিনিয়োগকারী। দুই দলই সুপার-জায়ান্টস। ফলে কলকাতার আবেগ টানতে সঞ্জীব গোয়েঙ্কা গত বছর থেকেই মোক্ষম কুশলী চাল চেলেছেন। বলেছেন, কলকাতায় লখনউ খেলবেন সবুজ-মেরুন জার্সি পরে।
আজও তাই হবে, জানিয়ে দিয়েছে লখনউ। অর্থাৎ, একশো বছর পার করা, কোটি কোটি সমর্থকের বাঁধ ভাঙা আবেগের রঙ সবুজ-মেরুনের মুখোমুখি হবে বেগুনি-সোনালি কলকাতা। এমনিতেই মোহনবাগান শেষ ম্যাচে বেঙ্গালুরু এফসিকে চার গোল মেরেছে। 'এটিকে' তুলে নেওয়ায় বাগান সমর্থকরা সঞ্জীব গোয়েঙ্কার ওপর অনেকটাই তুষ্ট। ইডেনে কেকেআর কি তাহলে সবুজ-মেরুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে?
কেকেআর কর্তারা যদিও এসব নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার ফর্মে নেই। চার ম্যাচে করেছেন ০, ৩৯ (অপরাজিত), ১৮, ৩৪। এই ধারা বজায় থাকলে কেকেআরের কপালে দুঃখ আছে। একইরকম খোঁড়াচ্ছেন মিচেল স্টার্ক। করকরে সাড়ে চব্বিশ কোটি টাকা গচ্চা দিয়ে তাঁকে কিনেছেন শাহরুখ খানের দল। এখনও অবধি তার ভগ্নাংশও উশুল করাতে পারেননি স্টার্ক। ভরসা সেই ওপরে সুনীল নারাইন, আন্দ্রে রাসেল আর শেষে রিঙ্কু সিংহ। ফিল সল্টের সঙ্গে নারাইন জমে গেলে ভাল। ওদিকে স্পিনে বরুণ চক্রবর্তীকে নিয়ে চিন্তা আছে। সুযশ শর্মা অনুশীলনে নিয়মিত আছেন। আজ ইমপ্যাক্ট সাবে নামার সম্ভাবনা প্রবল।
লখনউয়ের ব্যাটিং যদিও বিরাট আহামরি নয়। কেএল রাহুলের অবস্থা শ্রেয়সের থেকে ভাল। কিন্তু খুব ভাল নয়। পাঁচ ম্যাচে করেছেন ১৬৫। স্ট্রাইক রেট নিয়ে সতীর্থরাই খোঁচা দিচ্ছেন। মায়াঙ্ক যাদবের না থাকাটা নিঃসন্দেহে কেকেআরের কাছে নববর্ষের উপহার। পড়ে রইলেন নিকোলাস পূরণ, আয়ুষ বাদোনি। ব্যাট হাতে কুইন্টন ডি'কক যদিও যে কোনও দিন চাপে ফেলে দিতে পারেন। মার্কাস স্টোয়নিস তেমন ছন্দে নেই। ফলে রাসেল ঝড় বা ওদিকে পূরণের টর্নেডো না চললে মোটামুটি খেলাটা হতে চলেছে লখনউয়ের বোলারদের মধ্যে। আরশাদ খান, রবি বিষ্ণোই, নবীন উল হক, যশ ঠাকুর... আপাতত মায়াঙ্কের অবর্তমানে এঁদের ওপরেই আস্থা রাখছেন লখনউ কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার।