শ্রেয়স আইয়ার-ফাইল চিত্র
শেষ আপডেট: 23 March 2024 09:10
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সময়টা ভাল যাচ্ছে না কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারের। টেস্ট দলে সুযোগ পাননি। অভিযোগ, ঘরোয়া ক্রিকেটকে অবহেলা করেছেন শ্রেয়স। ফলে ভারতীয় বোর্ডের বার্ষিক চুক্তি থেকেই বাদ পড়েছেন আইপিএলের দুই তারকা ব্যাটসম্যান, শ্রেয়স ও ঈশান কিষাণ। কাবু হয়ে পড়েছেন চোটে। তাঁর চোট ঠিক কী অবস্থায়, সেই নিয়েও জলঘোলা চলেছে। সম্পতি বেঙ্গালুরু এনসিএ থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন শ্রেয়স। আজ শনিবার আইপিএলে কলকাতার প্রথম ম্যাচে নামছেন অধিনায়ক হয়ে। ফলে শনিবারের ইডেন কার্যত হয়ে উঠতে চলেছে শ্রেয়সের অনেক কিছুর বিরুদ্ধে জবাব দেওয়ার মঞ্চ।
চোট নিয়ে কতটা সতর্ক শ্রেয়স? সাক্ষাৎকারে প্রশ্নটাকে আমলই দিতে চাইলেন না তিনি। 'অতীত নিয়ে খুব বেশি ভাবলে চলে না। ভবিষ্যৎ নিয়েও বেশি দূরে ভাবতে নেই। যা আপনার হাতে আছে, সেদিকেই নজর দেওয়া উচিত। আমি সেটাই করছি। ভুল যদি কিছু করে থাকি, তাকে শুধরে নেওয়া, তার থেকে শেখার চেষ্টা করাটাই আসল।'
চিকিৎসকরা তাঁকে খেলার ছাড়পত্র দিলেও, সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন কিছু শর্ত। যেমন, খুব বেশি ঝুঁকে বা পা সামনের দিকে বাড়িয়ে শট খেলতে নিষেধ করা হয়েছে। পিঠের ওপর যে সব শট খেললে বেশি চাপ পড়ে, সেসবও বারণের তালিকায় আছে। শ্রেয়স যদিও বলছেন, তিনি ফিট। বোর্ডের একাধিক কর্তার কথাতেও শ্রেয়সের ফিটনেস নিয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত মিলেছে। কিন্তু শ্রেয়সের কথায়, 'ডাক্তারের কথায় বেশি মাথা ঘামাচ্ছি না। ওই যে বললাম, চোট আঘাত নিয়ে বেশি ভাবলে, চোটে বেশি গুরুত্ব দিলে তখন আসল কাজে সেরাটা দেওয়া যায় না।'
পিঠের এই চোট ২৯ বছরের এই তরুণ ক্রিকেটারকে বেশ কিছু দিন ধরেই ভোগাচ্ছে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের সময়েই শ্রেয়স ব্যথার কথা জানান। সেই পিঠের চোটে পরের টেস্টে আর মাঠে নামা হয়নি তাঁর। রঞ্জি ট্রফিতেও কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেননি শ্রেয়স। ফাইনালে যদিও নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৫ রান করেন। কিন্তু তারপর ফিল্ডিং-ও করতে পারেননি তিনি। যেতে হয় জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে।
চোট থাকা শ্রেয়সকে অধিনায়ক করাটা কতটা বিবেচকের কাজ হচ্ছে, এই প্রশ্ন নাইট কর্তাদের শুনতে হচ্ছে। এমনিতেই আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারাইনদের এবারে রাখা নিয়ে বিস্তর কথা হয়েছে। ফলে সবকিছুই এখন ইডেনের বাইশ গজে বল গড়ানোর অপেক্ষায়। কে কতটা ফিট, কাকে নেওয়া কতটা অবিবেচক বা সুবিবেচকের কাজ হয়েছে, বোঝা যাবে তখনই।