দ্য ওয়াল ব্যুরো: দিনকয়েক আগে বোমাটা ফাটিয়েছিলেন গৌতম গম্ভীর। এবার একই টার্গেটে তির ছুঁড়লেন রোহিত শর্মাও। লক্ষ্য সেই দেশীয় ধারাভাষ্যকার গোষ্ঠী। গুরু গম্ভীরের নিদান ছিল: কাচের ঘরে বসে ঢিল ছুড়বেন না। সমালোচনা করা যে কারও অধিকার ঠিকই। কিন্তু তাই বলে যা নয় তাই বলা যায় না। ‘ক্রিকেট কারও বাপের সম্পত্তি নয়’ বলেও হুঁশিয়ারি দেন টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ।

এবার দলের টেস্ট ফরম্যাট থেকে সরে দাঁড়ানো অধিনায়ক রোহিত শর্মাও একই সুরে সুর মিলিয়ে জানালেন, এখানকার ধারাভাষ্যকারদের তিনি ঠিক পছন্দ করেন না। অস্ট্রেলিয়ায় যে মানের কমেন্ট্রি হয়, তা ভারতের চাইতে অনেক বেশি উন্নত! এখানকার ‘মশলাদার’ ধারাভাষ্য যে আখেরে ক্রিকেটের পক্ষে বিপজ্জনক, এমন বার্তাও ছুড়ে দিয়েছেন রোহিত।

সাংবাদিক বিমল কুমারকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই কথা বলি, সবকিছুর দিকে নজর রাখি। অনেক সময় ভারতে যে ধরনের কমেন্ট্রি দেখতে পাই, সেটা অস্ট্রেলিয়ার কমেন্ট্রির চাইতে আলাদা মানের। এদেশের মান অনেক বেশি হতাশাজনক। এটা আমার সৎ মূল্যায়ন। মনে হয়, ধারাভাষ্যকারেরা নির্দিষ্ট কোনও ক্রিকেটারকে টার্গেট করে তাঁর বিষয়েই যা বলার বলেন।‘

কোন বিষয় নিয়ে কথা বলা যায় আর কী নিয়ে বলা যায় না, তারও সীমারেখা জরুরি বলে মনে করেন রোহিত। বলেন, ‘দেশের অনেক দর্শক খেলাটা ভালবাসেন। তাঁরা ‘মশলা’ চান না। শুধুমাত্র ক্রিকেটভক্ত। খেলা নিয়ে জানতে চান। শুনতে চান, ক্রিকেটারের ফর্ম কেন খারাপ হল? খেলোয়াড়ের ব্যক্তিগত জীবনের বিষয়ে জানতে আগ্রহী নন। কথা বলার স্বাধীনতা আছে মানেই আপনি যা কিছু বলে যাবেন, এটা হতে পারে না। ক্রিকেটারদের সম্মান করা জরুরি। আমি অনেক জায়গায় বলেছি, যে সমস্ত খেলোয়াড় বিশ্বকাপে শুধুমাত্র দলের সদস্য ছিলেন, তাঁরাও চূড়ান্ত সম্মানের দাবিদার। ২৩ কি ২৪টি ম্যাচ জেতা মুখের কথা নয়।‘

তাহলে কি দেশের বেশিরভাগ সমালোচকদের বক্তব্যই ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’? এমনটাই মনে করেন রোহিত। ওই একই ইন্টারভিউয়ে তিনি বলেন, ‘বেশ কিছু ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আমাদের হাতের বাইরে চলে গিয়েছিল। সেই সব জায়গায় আমাদের সমালোচনা হওয়া উচিত। কিন্তু কাউকে সমালোচনা করারও ধরন রয়েছে। আজকাল বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে এই কাজটি করা হয়। এটা ঠিক নয়।‘

তিনি নিজে কীভাবে সমালোচকদের সামলেছেন, তার নকশাও এদিন ফাঁস করেছেন মুম্বইকর। রোহিতের কথায়, ‘যে কোনও খেলোয়াড়ের সমালোচনার মুখোমুখি হওয়াটা জরুরি। কিন্তু আমি অহেতুক সমালোচনার বিপক্ষে। অনেকেই আমার ব্যাপারে অনেক কিছু বলে। কেউ কেউ মনে করে, আমি নাকি বাঁহাতি সিমারদের বিরুদ্ধে আউট হই। এই কথাটা কাটতে গেলে আমায় অনেক কিছু বলতে হবে। সময় খুব দামি। নিজেকে বারবার রক্ষা করে তা নষ্ট করতে চাই না। আক্রমণ কারাটা আমার কাজ। সেটা বাইরে করার বদলে মাঠে দেখানো অনেক ভাল।‘