শেষ আপডেট: 12th November 2024 10:35
দ্য ওয়াল ব্যরো: আইসিসি'র চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে যাচ্ছে না ভারত। বিসিসিআইয়ের এই সিদ্ধান্তের পাল্টা হিসাবে 'নো ইন্ডিয়া' পলিসি নিতে পারে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।
পিসিবির সূত্র উদ্ধৃত করে পাকিস্তানের একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কোথাও পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে খেলবে না, এমন সিদ্ধান্ত ঘোষণা নেওয়ার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে।
আগামী বছর ফেব্রুয়ারি-মার্চে পাকিস্তানে আট দেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। সোমবার ওই টুর্নামেন্টের সূচি ঘোষণা করার কথা ছিল। ভারতের সিদ্ধান্ত জানার পর পিসিবি সূচি ঘোষণা স্থগিত রেখেছে।
গত বছর হাইব্রিড পদ্ধতিতে এই টুর্নামেন্ট পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় হয়েছিল। ভারত সব ম্যাচ দ্বীপরাষ্ট্রে খেলে। আগামী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সংযুক্ত আরব আমিরাতে খেলার প্রস্তাব দিয়েছে বিসিসিআই। পিসিবি তাতে রাজি নয় বলে পাক সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে।
পাকিস্তান এবার খুব করে চাইছিল ভারত সিদ্ধান্ত বদল করুক। ২০০৮ সালের পর ভারতীয় দল পাকিস্তান সফর করেনি। ২০১৩ থেকে পাকিস্তানও হিন্দুস্থানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলা বন্ধ করে দিয়েছে। তবে বিভিন্ন টুর্নামেন্টে পাক দল ভারতে এসেছে।
এবার ভারতকে রাজি করাতে গতমাসে ইসলামাবাদের সাংহাই কো-অপারেশন সামিটকে ব্যবহার করেছিল শাহবাজ শরিফের সরকার ও পিসিবি। দুটি নৈশভোজে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজের একদিকে বসেছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর আর একদিকে পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি।পাকিস্তান সরকারের অতিথি আপ্যায়ন বিভাগকে এভাবেই আসন সাজাতে বলা হয়েছিল। সাধারণভাবে ক্রিকেট বোর্ড কর্তার ওই নৈশভোজে থাকার কথা নয়। জয়শঙ্করকে বোঝানো হয়েছিল ভারত যেন আাগামী বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলার আমন্ত্রণ না ফেরায়। টিম ইন্ডিয়াকে সর্বোচ্চ সুরক্ষা দেওয়া হবে।
পাকিস্তানের মাটি ছাড়ার আগে এক্স হ্যান্ডেলে জয়শঙ্কর ইসলামাবাদের আতিথিয়েতার প্রশংসা করে পোস্ট দেন। মনে হয়েছিল পাকিস্তানের ক্রিকেট কূটনীতিতে সায় দিতে পারে ভারত। কিন্তু কাশ্মীরে পাক জঙ্গিদের লাগাতার হামলার কারণে ভারত অবস্থানে অবিচল।
পাক সংবাদমাধ্যমের খবর, ভারতের সঙ্গে বিশ্বের কোথাও না খেলার ভাবনা নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছে পিসিবি। এতে দু-দেশেরই বিপুল আর্থিক ক্ষতি হবে। তাছাড়া আইসিসি এমন প্রস্তাবে সায় দেবে কিনা তা নিয়েও সংশয় আছে। কিন্ত পাকিস্তান সরকার ও ক্রিকেট বোর্ড ভারতকে কড়া জবাব দিতে চাইছে।