শেষ আপডেট: 1st February 2025 11:19
দ্য ওয়াল ব্যুরো : ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চতুর্থ টি-২০ ম্যাচে ভারতীয় ক্রিকেট দল ১৫ রানে জয়লাভ করেছে। সেইসঙ্গে পাঁচ ম্যাচের এই সিরিজেও তারা এগিয়ে গিয়েছে ৩-১ ব্যবধানে। টিম ইন্ডিয়ার এই জয়ের পিছনে হর্ষিত রানার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। এই ম্যাচের হাত ধরে আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে তাঁর অভিষেক হয়েছে। কিন্তু, তার থেকেও বড় কথা, শিবম দুবের রিপ্লেসমেন্ট হিসেবে মাঠে নেমে তিনি ৩ উইকেট শিকার করেন। এই সিরিজ হাতছাড়া হতেই ব্রিটিশ ক্রিকেট সমর্থকরা টিম ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলেছেন। আসুন, ICC-র 'কনকাশন সাবস্টিটিউড' নিয়মের ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। কীভাবে একটি ম্যাচে এই নিয়ম লাগু করা হয়?
খেলা চলাকালীন কোনও ব্যাটারের মাথায় যদি বল আঘাত করে, তাহলে প্রথমে দলের মেডিক্যাল টিম ওই চোট পরীক্ষা করে। পরীক্ষার পর যদি চিকিৎসকরা মনে করেন যে ওই ক্রিকেটার আপাতত খেলার মতো অবস্থায় নেই, তাহলে আইসিসি ম্যাচ রেফারির কাছে লিখিতভাবে পরিবর্ত ক্রিকেটারের নাম জমা দিতে হয়। এরপর ম্যাচ রেফারি সেই ক্রিকেটারকে মঞ্জুর করেন। শেষপর্যন্ত ওই ব্যাটারের পরিবর্তে অন্য় ক্রিকেটার মাঠে নামতে পারেন।
তবে এই পরিবর্তন 'লাইক ফর লাইক' করতে হবে। অর্থাৎ, কোনও ব্যাটার চোট পেলে তাঁর জায়গায় ব্যাটারকেই নামাতে হবে। আর বোলারের জায়গায় বোলারকে। নিয়মে স্পষ্ট উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে, এমন ক্রিকেটারকে মাঠে নামাতে হবে যাঁর হাত ধরে ওই দল খুব বেশি সুবিধা গ্রহণ না করতে পারে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতীয় ক্রিকেট দলের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে প্রতারণার অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের সমর্থকরা দাবি করছেন, একজন অলরাউন্ডারের পরিবর্তে একজন অলরাউন্ডারকেই মাঠে নামানো দরকার ছিল। যেহেতু শিবম দুবে একজন অলরাউন্ডার, তাঁর জায়গায় কীভাবে হর্ষিত রানা টিম ইন্ডিয়ার প্রথম একাদশে সুযোগ পেলেন, তা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। অনেকে তো আবার ভারতীয় ক্রিকেট দল এবং কোচ গৌতম গম্ভীরের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলতে শুরু করেছেন।