সোমবার টেস্ট ক্রিকেটকে আকস্মিক বিদায় (Virat Kohli Retirement) জানানোর পরদিনই বৃন্দাবনে পৌঁছে যান বিরাট কোহলি। গোটা ক্রিকেটবিশ্ব তখন প্রশ্ন, বিতর্ক আর সংশয়ে সরগরম, প্রতি মুহূর্তে উপচে পড়ছে নিত্যনতুন তত্ত্ব!
বিরাট কোহলি ও অনুষ্কা শর্মা
শেষ আপডেট: 14 May 2025 10:00
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ‘এবার খুশি তো?’
‘হ্যাঁ। এখন ঠিক আছি।’
প্রশ্নটা করলেন যিনি, তিনি প্রেমানন্দ মহারাজ (Premananda Maharaj)৷ বৃন্দাবনে (Vrindavan) অধিষ্ঠান। আশ্রম গড়ে তুলেছেন। নাম: ‘শ্রীহিত রাধাকেলি কুঞ্জ’। মঙ্গলবার ভরদুপুরে ছাপোষা গাড়িতে সেখানে পা রাখলেন যিনি তাঁর গায়ে সাদা জামা। পরনে ছাইরঙা ট্রাউজার। প্রেমানন্দ সমীপে হাঁটু মুড়ে বসে। পাশে সহধর্মিণী। তাঁরও পরনে আটপৌরে সালোয়ার স্যুট।
মঙ্গলবার দুপুরে এই মূর্তিতেই সস্ত্রীক বিরাটকে (Virat Kohli) আবিষ্কার করল ক্রিকেট দুনিয়া। অবসরের পর প্রথমবার, সস্ত্রীক (Anushka Sharma)।
সোমবার টেস্ট ক্রিকেটকে আকস্মিক বিদায় (Virat Kohli Retirement) জানানোর পরদিনই বৃন্দাবনে পৌঁছে যান বিরাট কোহলি। একদিকে গোটা ক্রিকেটবিশ্ব যখন প্রশ্ন, বিতর্ক আর সংশয়ে সরগরম, প্রতি মুহূর্তে উপচে পড়ছে নিত্যনতুন তত্ত্ব: কেন এখনই সরে দাঁড়ালেন বিরাট? কেন দলকে অন্ধকারে ফেলে গুরুত্বপূর্ণ ইংল্যান্ড সফরের আগেই সরে যেতে হল তাঁকে? তিনি স্বেচ্ছায় অপসৃত হলেন? নাকি সরিয়ে দেওয়া হল? এমনই কাঁটাওয়ালা, খোঁচা-মারা প্রশ্নে যখন সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া, ঠিক তখনই সমস্ত হইহট্টগোল থেকে অনেক দূরে, মিডিয়ার নজর এড়িয়ে বৃন্দাবন যাত্রা করেন বিরুষ্কা (Virushka)। স্পটলাইট থেকে দূরে। সমস্ত বিত্তবাসনার ঊর্ধ্বে—পরনের পোশাক-আশাকে অন্তত তেমনটাই ধরা পড়ল।
Virat Kohli & Anushka Sharma से पूज्य महाराज जी की क्या वार्तालाप हुई ? Bhajan Marg pic.twitter.com/7IWWjIfJHB
— Bhajan Marg (@RadhaKeliKunj) May 13, 2025
তিনি ‘এবার’ প্রসন্ন কি না, জিজ্ঞেস করতেই মাথা নেড়ে ইতিবাচক জবাব দেন বিরাট কোহলি। এরপর প্রেমানন্দ তাঁকে সুখী জীবনযাপনের যে উপদেশ দেন তার মর্মার্থ হচ্ছে: ‘জীবনে সমৃদ্ধির কারণ শুধুই দয়া বা অনুগ্রহ নয়। এটাই পুণ্যের ফল৷ অন্তরের চিন্তার পরিবর্তন আসলে ঈশ্বরের কর্ম। এখন যেমন রয়েছ, সেভাবেই বাঁচবে। সাংসারিক হও৷ কিন্তু অন্তরের চিন্তা যেন বদলে যায়৷ সেখানে যেন যশ, খ্যাতির ভাবনা না আসে। মনের গভীরে যেন এই ভাবনাই ঘুরপাক খায়: প্রভু, জীবনের অনেকটা কাটিয়ে ফেললাম৷ এবার আমি শুধু তোমায় চাই।’
কিন্তু কীভাবে এই চিন্তা অর্জন করা সম্ভব? তাই হাতজোড় করে থাকা অনুষ্কা প্রশ্ন ছিল: ‘প্রভু, নামজপ করেই কি সব হয়ে যাবে?’
উত্তরে প্রেমানন্দর উপদেশ, ‘একেবারেই তাই। আমি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে তোমায় বলছি। তবে জপের সংখ্যা নয়, অনুরাগে ধ্যান দাও।’
উল্লেখ্য, এর আগে চলতি বছরের গোড়ায় প্রেমানন্দের আশ্রমে যান কোহলি, অনুষ্কা। সঙ্গে ছিলেন তাঁদের দুই সন্তানও৷ দু'বছর আগের গন্তব্য ছিল উজ্জয়িনীর মহাকালেশ্বর মন্দির। এ ছাড়া উত্তরাখণ্ডের কাঞ্চিধামের নিম কারোলি বাবার আশ্রমেও জীবনের পাঠ নিতে দেখা যায় এই দম্পতিকে।