বরুণ চক্রবর্তী
শেষ আপডেট: 16 March 2025 08:08
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ২০২১ সালের টি-২০ বিশ্বকাপে দলে সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু সমর্থকদের প্রত্যাশার মর্যাদা রাখতে পারেননি। যে কারণে অনবরত মৃত্যুর হুমকির মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। সম্প্রতি একটি ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একথা জানালেন রহস্য স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তিনি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী। নিয়েছেন ন’উইকেট। তাও মাত্র তিন ম্যাচ খেলে। কারও মতে ম্যাচ উইনার, কারও চোখে টিম ইন্ডিয়ার এক্স-ফ্যাক্টর। অথচ বছর তেত্রিশের বরুণ গোড়ায় ১৫ জনের দলে ডাক পাননি। এমনকী জসপ্রীত বুমরাহ চোটের জন্য বাদ না পড়লে দুবাইয়ের বিমানে উঠতেন না তিনি। সেই সুযোগ এসেছিল ঠিকই। কিন্তু পঞ্চম স্পিনার হিসেবে। আর এই স্পিনারই শেষ পর্যন্ত টিম ইন্ডিয়ার তুরুপের তাস হয়ে উঠেছেন।
যদিও রঞ্জির ময়দান থেকে আইপিএল হয়ে দুবাইয়ের জার্নিটা এতটা সহজ ছিল না। একুশের বিশ্বকাপে দলে সুযোগ পেয়েছিলেন বরুণ। সেবার অবশ্য শেষ মুহূর্তে নয়, রহস্য স্পিনার হিসেবে হাইপ তুলে জায়গা করে নিয়েছিলেন। দেশের ক্রিকেট সমর্থকদের একটা বড় অংশ বরুণকেই সেবার আসল ট্রাম্প কার্ড বলে মনে করেছিলেন। কিন্তু বাকিদের মতো ব্যর্থ হন তিনি। টিম ইন্ডিয়াও টুর্নামেন্ট শেষে দেশে ফেরে খালি হাতে।
কেমন ছিল সেই সময়ের অভিজ্ঞতা? জানাতে গিয়ে বরুণ বলেন, ‘সেটা আমার জীবনের অন্ধকার সময়। বারবার মতো হত, আমি ঠিক করিনি, ব্যর্থ হয়েছি। এত হইচইয়ের পর দলে সুযোগ পেয়েও মান রাখতে পারিনি।‘ কিন্তু তাঁর পারফরম্যান্স নিয়ে দেশজুড়ে যেটা চলছিল তাকে নিছক কাটাছেঁড়া বা সমালোচনা বলতে নারাজ বরুণ। বলেন, ‘বিশ্বকাপের পরপরই আমি হুমকি কল পেতে শুরু করি। যেখানে ফোনের ওপার থেকে বলা হত, ‘ভারতে আসার চেষ্টাও কোরো না। আর চেষ্টা করলেও পারবে না।‘ সেই সময় লোকজন আমার আমার বাড়ি চলে আসত। পিছু নিত আমার। ভয়ে আমায় লুকোতে পর্যন্ত হয়েছে। একবার বিমানবন্দর থেকে যখন ফিরছিলাম তখন দুজন বাইক আরোহী আমার পেছন ধাওয়া করে। আমি জানি সমর্থকেরা অনুভূতিপ্রবণ। তাই পিছন ফিরে এসব চিন্তা করলে মনে হয়, আমি ভালই আছি।‘
যদিও এখন নিজের অন্ধকার অতীতের দিকে তাকাতে নারাজ বরুণ। তিনি বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আমার আত্মবিশ্বাস অনেকটা বাড়িয়েছে। এখন নিজেকে বোঝাই, আমি এখানকার উপযুক্ত।‘