শেষ আপডেট: 24th January 2025 21:19
দ্য ওয়াল ব্যুরো : ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিল কেরালা ব্লাস্টার্স। আর ঠিক সেই সময়ই জ্বলে উঠলেন ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্ডার হিজাজি মাহের। প্রথমার্ধে হিজাজিকে কার্যত খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছিল না। তা নিয়ে কম কথাও হয়নি। কিন্তু, দ্বিতীয়ার্ধের তাঁর হেড থেকেই ইস্টবেঙ্গলের ইনস্যুরেন্স গোলটা চলে আসে। আপাতত লাল-হলুদ সমর্থকরা যে জয়ের গন্ধ পেতে শুরু করেছেন, তা বলা যেতেই পারে।
৭২ মিনিটে আসে ইস্টবেঙ্গলের দ্বিতীয় গোল। কর্নার কিক পেয়েছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। সেখান থেকে ভাসানো বলটা নিজের মাথা নিখুঁতভাবে ঠেকালেন জর্ডনের এই তারকা ফুটবলার। মাত্র ৬ গজ দুরত্ব থেকে তাঁর শক্তিশালী হেডার আটকানোর ক্ষমতা ছিল না কেরালা ব্লাস্টার্সের গোলরক্ষক সচিন সুরেশের। বলটা জালে জড়াতেই যুবভারতী স্টেডিয়াম কার্যত গর্জন করে ওঠে। গোওওওলললল। আপাতত ২-০ গোলে তারা এগিয়ে রয়েছে। ম্যাচের বাকি সময় তারা এই লিড ধরে রাখতে পারে কি না, সেটাই আপাতত দেখার।
এই ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে প্রথম গোলটা করেছিলেন পিভি বিষ্ণু। ২১ মিনিটে গোলটি করেছেন দলের রাইট উইঙ্গার পিভি বিষ্ণু। প্রায় মাঝমাঠ থেকে বলটা বাড়িয়েছিলেন অধিনায়ক ক্লেইটন সিলভা। লম্বা শট থেকে বলটা রিসিভ করার পর বিষ্ণু বলে ছোট দুটো টাচ করেন। অল্প সময়ের মধ্যেই যেভাবে গতি বাড়িয়ে তিনি কেরালার বক্সের মধ্যে ঢুকলেন, সেটা কার্যত দেখার মতো ছিল। শেষবেলায় লাল-হলুদের এই রাইট-উইঙ্গার পায়ের ছোট একটা টোকায় বলটা গোলকিপারের মাথার উপর দিয়ে বাড়িয়ে দেন। এরপর তো লাল-হলুদ সমর্থকদের গর্জনই বাকি ছবিটা স্পষ্ট করে দিয়েছে।