শেষ আপডেট: 31st January 2025 23:14
দ্য ওয়াল ব্যুরো : ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চতুর্থ টি-২০ ম্যাচে ভারতীয় ক্রিকেট দল ১৫ রানে জয়লাভ করেছে। কিন্তু, এই ম্যাচে এমন একটি ঘটনার সাক্ষী থাকলেন টিম ইন্ডিয়ার সমর্থকরা, যা তাঁদের অবাক করে দিয়েছে। এই ম্যাচ শুরু হওয়ার প্রায় ২ ঘণ্টা পর ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রথম একাদশ পরিবর্তিত হয়। আর যে ক্রিকেটারকে প্রথমে বাইরে বসিয়ে রাখা হয়েছিল, তিনি প্রথম একাদশে এন্ট্রি নেন। এই ক্রিকেটার হলেন হর্ষিত রানা। পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে আয়োজিত এই ম্যাচে তাঁকে কনকাশন সাব হিসেবে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।
এই ম্যাচ চলাকালীন আচমকা চোট পেয়েছিলেন শিবম দুবে। আসলে ভারতীয় ইনিংসের অন্তিম ওভারে জেমি ওভারটনের একটি বল তাঁর মাথায় এসে লাগে। এরপর তিনি জানিয়েছিলেন যে মাথা ঘুরতে শুরু করেছে। সেকারণে আর শিবমকে আর বেশিক্ষণ ফিল্ডিং করানোর ঝুঁকি নেয়নি টিম ম্যানেজমেন্ট। শিবমের এই জায়গাতেই সুযোগ দেওয়া হয়েছিল হর্ষিত রানাকে। আর সুযোগটা দু'হাতে কাজে লাগালেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের এই তারকা পেসার। এই ম্যাচে তিনি মোট ৩ উইকেট শিকার করেন। আর ভারতে জেতানোর পিছনে তাঁর একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।
খেলা চলাকালীন কোনও ব্যাটারের মাথায় যদি বল আঘাত করে, তাহলে প্রথমে দলের মেডিক্যাল টিম ওই চোট পরীক্ষা করে। পরীক্ষার পর যদি চিকিৎসকরা মনে করেন যে ওই ক্রিকেটার আপাতত খেলার মতো অবস্থায় নেই, তাহলে আইসিসি ম্যাচ রেফারির কাছে লিখিতভাবে পরিবর্ত ক্রিকেটারের নাম জমা দিতে হয়। এরপর ম্যাচ রেফারি সেই ক্রিকেটারকে মঞ্জুর করেন। শেষপর্যন্ত ওই ব্যাটারের পরিবর্তে অন্য় ক্রিকেটার মাঠে নামতে পারেন।
শিবম দুবে বেরিয়ে যেতেই হর্ষিত রানার কেরিয়ারে কার্যত পোয়াবারো হয়ে যায়। কারণ এই প্রথমবার তিনি কোনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ খেলতে নামলেন। আজ্ঞে হ্যাঁ, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এই চতুর্থ টি-২০ ম্যাচেই কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে হর্ষিত রানার অভিষেক হল। প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই তিনি লিয়াম লিভিংস্টোনের উইকেট শিকার করে। এরপর তিনি একে একে জেকব বেথেল এবং জেমি ওভারটনকে প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখিয়ে দেন।
ম্যাচের শেষে হর্ষিত রানা বললেন, 'শিবম যখন ২ ওভার ফিল্ডিং করার পর ফিরে এসেছিল, তখনই আমাকে এই কনকাশন সাব-এর ব্যাপারে বলা হয়েছিল। তবে আমি নিজেকে সবসময় প্রস্তুত করেই রেখেছিলাম। শুধুমাত্র এই সিরিজটার জন্য নয়। এই অভিষেকের জন্য় আমি অনেকদিন অপেক্ষা করেছি। নিজেকে প্রমাণ করার জন্য় অপেক্ষা করেছি। আর যখন সুযোগটা পেলাম, তখন আর পরিস্থিতির কথা মাথায় ছিল না। শুধুমাত্র নিজের বোলিং নিয়েই চিন্তাভাবনা করেছি। কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের হয়ে ডেথ ওভারে বল করার যথেষ্ট অভিজ্ঞতা আমার রয়েছে। এখানে সেটাই আমি কাজে লাগিয়েছি।'