শেষ আপডেট:
দ্য ওয়াল ব্যুরো : সত্যি কপালটা বোধহয় খারাপ ইস্টবেঙ্গল এফসি। প্রথমে তাদের পক্ষে একটি নিশ্চিত পেনাল্টি রেফারির চোখ এড়িয়ে যায়। আর এবার লাল-কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লেন লাল-হলুদের তারকা ফুটবলার শৌভিক চক্রবর্তী। বাকি ২৬ মিনিট তাদের ১০ জন মিলে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।
আসলে ম্যাচের ৩৯ মিনিটের প্রথম হলুদ কার্ড দেখেছিলেন শৌভিক। আপুইয়াকে ফাউল করার জন্য তাঁকে এই কার্ড দেখা হয়েছিল। তখনই নিশ্চিত হয়ে যায় যে পরের ম্যাচে শৌভিক ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলতে পারবেন না। এরপর ৬৪ মিনিটে আবারও তাঁকে হলুদ কার্ড দেখানো হয়। এবার তিনি লিস্টনকে আটকাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু, বলে তিনি টাচ করতে পারেননি। সরাসরি লিস্টনকে বাধা দেন তিনি। আর সেইসঙ্গে ম্যাচ রেফারি দ্বিতীয় হলুদ কার্ড বের করতে কোনও ভুল করলেন না। আর সেটা সঙ্গে সঙ্গে লাল কার্ডে পরিণত হয়। শৌভিক রেফারিকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও, তাতে কোনও লাভ হয়নি। শেষপর্যন্ত মাঠ ছেড়ে তাঁকে বেরিয়ে যেতে হয়।
তবে এই ম্যাচের প্রথমার্ধেও রেফারিং নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। ৪৫+২ মিনিটে বলটা নিয়ে বক্সের মধ্যে প্রবেশ করেছিলেন পিভি বিষ্ণু। তিনি গোলমুখী একটা শট মেরেছিলেন। কিন্তু, বলটা স্পষ্টতই আপুইয়ার হাতে লাগে। কিন্তু, সেটা ম্যাচ রেফারির চোখ এড়িয়ে যায়। তিনি খেলা চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। রেফারির এই সিদ্ধান্ত লাল-হলুদ ফুটবলাররাও যারপরনাই হতাশ হয়ে পড়েন। যদি এই ম্যাচের ফলাফল লাল-হলুদ ব্রিগেডের পক্ষে না যায়, তাহলে এই একটা সিদ্ধান্ত অবশ্যই ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াবে।
কলকাতা ডার্বির শুরুতেই ১-০ গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। গোল করেন মোহনবাগানের অজি তারকা জেমি ম্যাকলারেন। মাত্র ২ মিনিটে মেরিনার্সরা এগিয়ে যাওয়ার কারণে বাগান সমর্থকরা কার্যত উল্লাসে ফেটে পড়েছিলেন। বাগানের এই অস্ট্রেলিয়ান ফরোয়ার্ডকে পিছন থেকে থ্রু বল বাড়িয়েছিলেন আশিস রাই। হেক্টর ইউস্তের কাছে বলটা ক্লিয়ার করার কোনও সুযোগই ছিল না। ম্যাকলারেন ছোট্ট একটা টাচে লাল-হলুদ জালে জড়িয়ে দিলেন। তবে এখনও অনেকটাই খেলা বাকি রয়েছে। গত ৯ আইএসএল ডার্বির মধ্যে আটটাতেই জিতেছে মোহনবাগান। বাকী একটা ম্যাচ ড্র হয়েছিল।