শেষ আপডেট: 16th February 2025 22:17
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অবশেষে জয়ের সরণীতে ফিরল ইস্টবেঙ্গল এফসি। রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) তারা মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিরুদ্ধে খেলতে নামে। এই ম্যাচে অস্কার ব্রুজোঁর দল ৩-১ গোলে জয়লাভ করেছে। কিন্তু, রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় এমন এক ঘটনার সাক্ষী রইল বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন, যা হয়ত ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা কল্পনাও করতে পারেনি।
ঘটনাটি ৮৮ মিনিটের। মহমেডানের বিরুদ্ধে তখন ২-১ গোলে এগিয়ে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। ইস্টবেঙ্গল এফসি-র হয়ে একটি করে গোল করেছেন নাওরেম মহেশ সিং এবং সাউল ক্রেসপো। অন্যদিকে, মহমেডানের হয়ে একমাত্র গোলটি করেছেন ফ্রাঙ্কা।
আচমকা ইস্টবেঙ্গল দলের কোচ অস্কার ব্রুজোঁ লাল-হলুদ গোলকিপার প্রভসুখন গিলকে মাঠের বাইরে বেরিয়ে যেতে বলেন। গিল প্রথমে ব্যাপারটা বুঝতে পারেননি। কেন তাঁকে বেরিয়ে আসতে বলা হচ্ছে, সেটাও তিনি ঠাহর করতে পারছিলেন না। তিনি হাতের ইশারায় বোঝানোর চেষ্টা করেন যে তাঁকে মাঠ থেকে তুলে নেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। আর তো কিছুক্ষণের খেলা বাকি রয়েছে। কোনও অসুবিধে হবে না।
এমন সময় দেখা যায়, সাইড লাইনের ধারে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ইস্টবেঙ্গলের অপর গোলরক্ষক দেবজিৎ মজুমদার। স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছিল, গিল মাঠ না ছাড়লে তিনি প্রবেশ করতে পারছেন না। এদিকে প্রভসুখনও নাছোড়। অবশেষে কোচের নির্দেশে তাঁকে মাথা নত করতেই হল। তবে যাওয়ার আগে চরম বিরক্তি তাঁর চোখে-মুখে দেখতে পাওয়া যাচ্ছিল। এমনকী, কর্নার ফ্ল্যাগে ধাক্কাও মারেন। এদিকে অস্কারও মাথা চুলকোতে চুলকোতে নিজের মুখটা ঘুরিয়ে নেন। যেন গিলের কোনও আর্জিতেই কর্ণপাত করবেন না তিনি।
গোটা ব্যাপারটা নিয়ে ইতিমধ্যে যথেষ্ট জলঘোলা হয়েছে। অনেকেই সন্দেহ করতে শুরু করেছেন যে প্রভসুখনের চোটের কারণেই অস্কার এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। কিন্তু, খেলোয়াড় যখন বলছেন যে তিনি খেলা চালিয়ে যেতে পারবেন, তার থেকেও বড় কথা রেগুলেশন টাইমের মাত্র ২ মিনিটই বাকি ছিল, সেখানে অস্কার এই কঠিন সিদ্ধান্তটা না নিলেও পারতেন।
তবে গিল যে নিজের মনে কোনও রাগ পুষে রাখেননি, সেটাও কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি প্রমাণ দেন। দেবজিৎ মাঠে নামতে না নামতেই ইস্টবেঙ্গলের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন ডেভিড লালনসাঙ্গা। আর তখনই সাইড লাইনের ঠিক বাইরে দাঁড়িয়ে শিশুর মতো লাফাতে শুরু করেন প্রভসুখন। দলের সঙ্গেই এই উল্লাস শেয়ার করেন তিনি। তবে দিনের শেষে ইস্টবেঙ্গলের ঝুলিতে যে তিনটে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট এসেছে, এটাই সবথেকে বড় কথা।