শেষ আপডেট: 18th September 2024 22:43
দ্য ওয়াল ব্যুরো: একাধিক গোলের সুযোগ পেয়েও হাতছাড়া করার খেসারত দিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। বুধবার এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-এর প্রথম ম্যাচে এফসি রাভশান ক্লাবের বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করে মাঠ ছাড়ল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। কলকাতার বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে এই ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছে।
টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্য়াচে দুই দলই তেমন একটা আক্রমণ শানাতে পারেনি। তবে মোহনবাগানের কাছে বেশ কয়েকটা সুযোগ এলেও, সেটা তারা কাজে লাগাতে পারল না।
এই টুর্নামেন্টে বিদেশি ফুটবলারের সংখ্যার উপর কোনও বিধিনিষেধ আরোপ করা নেই। সেকারণে বাগান কোচ এই ম্যাচে তিন বিদেশি নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন। তবে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের প্রথম ম্য়াচে যে ফুটবলারদের তিনি খেলিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে অধিকাংশ খেলোয়াড়দেরই তিনি বেঞ্চে বসিয়ে রাখলেন। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট ২ গোলে এগিয়ে থেকেও, শেষপর্যন্ত ম্যাচটা ড্র করে।
ম্যাচের ১৯ মিনিটে মোহনবাগানের কাছে প্রথম সুযোগ এসেছিল। রাভশানের বক্সে একেবারে আনমার্কড অবস্থায় ছিলেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। মনবীর সিং তাঁকে বলটা বাড়িয়ে ছিলেন। কিন্তু, অস্ট্রেলিয়ার এই ফরোয়ার্ড বল সংগ্রহ করতে কিছুটা দেরি করে ফেলেন। সেকারণে বিপক্ষের রক্ষণ তাঁকে প্রতিহত করতে পারে।
বাগানের রক্ষণে রাভশানও একাধিকবার আক্রমণের চেষ্টা করেছে। ম্যাচের ২৭ মিনিটে গোল তো একেবারে অনিবার্য ছিল। কিন্তু, বাগান গোলকিপার বিশাল কাইথের দক্ষতায় সেই যাত্রায় বেঁচে যায় সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। বিশাল তাঁর অসাধারণ দক্ষতায় মহম্মদজন রাহিমোভের একটি ক্লোজ শট আটকে দেন।
শেষবেলায় দুটো দলেই বেশ কয়েকটি পরিবর্তন দেখা গেল। কিন্তু, ম্যাচের ফলাফলে তার বিশেষ কোনও প্রভাব পড়ল না। বল মাঝমাঠেই বেশিরভাগ সময় ঘোরাফেরা করতে লাগল। অ্যাটাকিং থার্ডে বল কতবার গিয়েছে, তা বোধহয় হাতে গুনে বলা যাবে।
রাভশান এই ম্যাচে বেশ কয়েকটা আক্রমণের সুযোগ তৈরি করলেও, শেষপর্যন্ত মোহনবাগান বক্সে তা প্রতিহত হয়ে যায়।
তবে শেষ ১৫ মিনিটে দুটো দলের মধ্যেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখতে পাওয়া গেল। ম্যাচের ফাইনাল কোয়ার্টারে মলিনা তাঁর প্রথম সারির দল মাঠে নামিয়েছিলেন।
তবে লিস্টন কোলাসো, দিমিত্রি পেত্রাতোস এবং জেসন কামিন্স গোলের সহজ সুযোগ মিস করার কারণে মেরিনার্সরা কার্যত জেতা ম্যাচটা ড্র করে এল। এক্ষেত্রে রাভশানের গোলরক্ষক ইয়েভেন হৃষটেঙ্কোর প্রশংসা আলাদা করে প্রাপ্য।