শেষ আপডেট: 19th October 2024 21:47
দ্য ওয়াল ব্যুরো: হল না। কোচ গেল, কোচ এল। ইস্টবেঙ্গলের হাল সেই এক। কোনওভাবেই ভাগ্য বদলাচ্ছে না লাল-হলুদের। শনিবারের কলকাতা ডার্বিতে তাঁরা হারল ২-০ গোলে। মোহনবাগানের হয়ে গোল করলেন জেমি ম্যাকলারেন এবং ডিমি পেট্রাটস (পেনাল্টি)।
মোহনবাগান এই ডার্বিটা সত্যিই 'জায়ান্ট'-এর মতোই খেলেছে। বল পজিশন থেকে শুরু করে পাসিং, শট সব ক্ষেত্রেই তাঁরা ইস্টবেঙ্গলের থেকে এগিয়ে ছিল। ম্যাচ শুরুর কিছু মিনিট একটু শ্লথ হলেও ক্রমাগত আক্রমণ বাড়াতে থাকে তাঁরা। ম্যাচের প্রথম ৩০ মিনিটের মধ্যেই অন্তত ৫-৬ কর্নার পেয়েছে মোহনবাগান। বোঝাই গেছিল গোটা ম্যাচে তাদের কেমন দাপট হতে চলেছে। উল্টো দিকে আক্রমণ করতে যেন ভুলে গেছে ইস্টবেঙ্গল। সেইভাবে গোলমুখী কোনও শটও দেখা যায়নি তাঁদের ৯০ মিনিট।
খেলা শুরু প্রথম ৩-৪ মিনিট বাদ দিলে গোটা ম্যাচ কার্যত খেলেছে মোহনবাগান। তবে কাঙ্ক্ষিত গোল দেখতে ৪০ মিনিট অপেক্ষা করতে হয় সবুজ-মেরুন সমর্থকদের। ৪১ মিনিটের মাথায় দলকে গোল করে এগিয়ে দেন মোহনবাগান সমর্থকদের নয়নের মণি অস্ট্রেলীয় বিশ্বকাপার জেমি ম্যাকলারেন। তাঁর গোলে চিৎকারে ফেটে পড়ে যুবভারতী। মনে করা হয়েছিল, এরপরই হয়তো গোলের বন্যা হবে। যদিও তেমন কিছু হয়নি।
দ্বিতীয় হাফেও দাপট রেখে খেলেছে সবুজ-মেরুন। সেইভাবে গোলে কোনও শট নিতেই দেখা যায়নি ইস্টবেঙ্গলকে। বরং এটা বলতে হবে, তাঁদের ডিফেন্স আজ অনেক ভাল খেলেছে। আলাদা করে বলতে হবে আনোয়ার আলি এবং প্রভাব লাকরার কথা। যথেষ্ট ভাবে নিজেদের প্রমাণ করেছেন এঁরা। কিছু ভাল সেভ দিয়েছেন প্রভসুখান গিলও। নাহলে লজ্জা আরও বাড়ত লাল-হলুদের।
পরিসংখ্যান দেখলে বোঝা যাবে ইস্টবঙ্গল ডিফেন্সের ওপর কতটা চাপ ছিল। খেলায় মোহনবাগান কর্নার পেয়েছে ১২ টা, সে জায়গায় লাল-হলুদ মাত্র ২ টো। মোহনবাগান গোলে শট মেরেছে ৭টা, ইস্টবেঙ্গল ১! পাস, পজেশন সবেতে লাল-হলুদকে 'টেক্কা' দিয়েছে সবুজ-মেরুন। তাই এই ফল যে প্রত্যাশিত তা হলফ করে বলা যায়।
শুধু আইএসএল ধরলে টানা ৫ ম্যাচ আর ডুরান্ড কাপ থেকে ধরলে এই নিয়ে টানা ৭ ম্যাচ হারল ইস্টবেঙ্গল। ১০০ বছরের বেশি পুরনো ক্লাবের ইতিহাস ঘেঁটে দেখতে হবে এই হাল লাল-হলুদ শিবিরের শেষ কবে হয়েছিল!