মোহনবাগানের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুললেন কুণাল ঘোষ
শেষ আপডেট: 19th January 2025 15:12
দ্য ওয়াল ব্যুরো : শনিবার (১৮ জানুয়ারি) মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাবে বার্ষিক সাধারণ বৈঠক আয়োজন করা হয়েছিল। এই বৈঠকে বিভিন্ন বিষয় নিয়েই আলোচনা করা হয়। কিন্তু নির্বাচনের প্রসঙ্গ উঠতেই সমর্থকদের দুই গোষ্ঠী কার্যত রণংদেহি মূর্তি ধারণ করেন। এমনকী, চেয়ার ছুড়ে মারার অভিযোগও উঠেছে।
এই ব্যাপারে রবিবার দ্য ওয়ালের পক্ষ থেকে মোহনবাগান ক্লাবের সহ সভাপতি কুণাল ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এটা এমন কোনও বড় ঘটনা নয়। এত বড় একটা ক্লাবে এইরকম একটু-আধটু হতেই পারে।
কুণাল ঘোষ বললেন, 'না, না ওসব কিছুই হয়নি। একটা চেয়ার নিয়ে হয়েছিল। এ ওকে বসতে দিচ্ছিল না। কোনও চেয়ার ছোড়াছুড়ি হয়নি। মোহনবাগানের নির্বাচন নিয়ে একটা বিষয় তৈরি হয়েছিল। পরে অবশ্য সেই বিষয়ের সমাধান হয়ে গিয়েছে। জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে এজিএম শেষ হয়েছে। তারপর বাংলার ফুটবল দলকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। তাহলে আর গোলমালটা কোথায় রইল।'
সঙ্গে তিনি আরও যোগ করেছেন, 'এত বড় একটা ক্লাব। সেখানে কোনও একটা বিষয় নিয়ে মতপার্থক্য হতেই পারে। তারপর সবাই মিলে গোটা বিষয়টা নিয়ে সমাধানসূত্র বের করা হয়েছে। কোনও অসুবিধাই হয়নি। এমন ঘটনা আগেও অনেক হয়েছে। এত বড় একটা ক্লাব। এতগুলো প্রজন্ম এখানে রয়েছে। কোনও একটা বিষয়ে মতপার্থক্য হতেই পারে। এটাই তো আসল গণতন্ত্রের নমুনা।'
এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, এই বৈঠকে সাংবাদিক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবে সূত্রের খবর, মোহনবাগানের প্রাক্তন সচিব সৃঞ্জয় বসু বাগানের নির্বাচনের পক্ষে সওয়াল করতে শুরু করেছিলেন। এই মন্তব্যের পালটা জবাব দেন বাগানের বর্তমান সচিব দেবাশিস দত্ত। এরপর থেকেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে। একটা চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এমনকী ক্লাবের বার্ষিক সাধারণ সভায় চেয়ার তুলেও মারামারি শুরু হয়ে যায়।
শেষকালে কুণাল ঘোষ প্রশ্ন তুললেন, 'ক্লাবের মধ্যে যে একটা প্রাণ রয়েছে, ক্লাবকে ঘিরে সমর্থকদের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস রয়েছে, সেটা না থাকলে কোনও একটা বিষয় নিয়ে আর মতপার্থক্য হবেই বা কেন?' তাঁর কথায়, 'এর আগে অনেক বড় বড় গণ্ডগোল হয়েছে। সেই তুলনায় কাল তো কিছুই হয়নি। নির্দিষ্ট সময়েই মোহনবাগানের নির্বাচন হবে। আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত এই কমিটির মেয়াদ রয়েছে। ক্লাবের সব নিয়ম-কানুন মেনে যাতে সেই নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্ভব হয়, সেকারণেই একটা ফরমুলা তৈরি করা হচ্ছিল। সংবিধানের বাইরে কিছু হবে না।'