শেষ আপডেট: 10th November 2024 22:10
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়াম আরও একবার মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়াল। আগেই এই স্টেডিয়ামে আয়োজিত তিন ম্যাচের মধ্যে ওড়িশার বিরুদ্ধে একটায় হেরে গিয়েছিল মেরিনার্সরা। আর বাকি দুটো ড্র হয়েছিল। এবার সেই তালিকায় আরও একটি ড্র যোগ হয়ে গেল। রবিবাসরীয় রসগোল্লা ডার্বিতে আরও একবার জয় অধরা রইল বাগান ব্রিগেডের।
ম্যাচের শেষে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের হেড কোচ হোসে মলিনা বললেন, 'এই ম্যাচটা জিততে পারলাম না, তা নিয়ে কিছুটা আক্ষেপ রয়েছে। কিন্তু, দলের পারফরম্যান্সে আমি যারপরনাই সন্তুষ্ট। বেশ কয়েকটা সুযোগ আমরা তৈরি করেছিলাম। কিন্তু, শেষের টাচটা করতে পারিনি। আর সেকারণেই গোল করতে পারিনি।' এরপর মোহনবাগানের সামনে একটা লম্বা ব্রেক রয়েছে। আশা করা যায়, সেই বিরতির পর আরও শক্তি নিয়ে ঝাঁপাতে পারবে মেরিনার্সরা।
এই ম্যাচে দুটো দলই একটি করে গোল করেছে। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে ওড়িশাকে গোল করে এগিয়ে দেন মোহনবাগানের প্রাক্তন ফুটবলার হুগো বুমোস। মাত্র ৬ গজ দুরত্ব থেকে ফ্রি-কিক নেন এই ফরাসি ফুটবলার। সেই শট বাগান ডিফেন্সকে কার্যত চুরমার করে গোলে ঢুকে যায়।
এরপর ম্যাচের ৩৬ মিনিটে মেরিনার্সদের হয়ে সমতা ফেরালেন মনবীর সিং। কয়েকদিন আগেই একটি ইন্টারভিউয়ে দিমি পেত্রাতোস মজা করে মনবীরকে পর্তুগালের কিংবদন্তি ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। কেন তাঁকে এই উপাধি দেওয়া হয়েছে, সেটা রবিবার বুঝিয়ে দিলেন মনবীর। সঠিক সময়ে তিনি দলের ক্রাইসিস ম্যান হয়ে ওঠেন। দিমির বাড়ানো কর্নার কিক থেকেই মাথা ছুঁইয়ে সমতা ফেরালেন পঞ্জাবের এই ফুটবলার। এই ম্যাচে ড্র করলেও ৭ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানেই রইল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। অন্যদিকে, আট ম্যাচে ৯ পয়েন্ট সংগ্রহ করে নবম স্থানেই রইল ওড়িশা।