শেষ আপডেট: 18th February 2025 16:12
দ্য ওয়াল ব্যুরো: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ঢাকে কাঠি পড়ে গেছে। কালই বোধন। মুখোমুখি পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড। পরশু নামতে চলেছে ভারত। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। কিন্তু ব্যাট হাতে রোহিত এবং বল হাতে জাদেজাকে রাওয়ালপিন্ডি, করাচি কিংবা লাহোরের স্টেডিয়ামে খেলতে দেখা যাবে না। বদলে দুবাইয়ের ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হবে তারা।
কেন দুবাই, পাকিস্তান কেন নয়—এর উত্তরের খোঁজে অনেকটা পিছিয়ে যেতে হবে। টুর্নামেন্টের আয়োজক দেশ হিসেবে পাকিস্তানের নামঘোষণার পরই বেঁকে বসেছিল বিসিসিআই। সাফ জানানো হয়, বাবর আজমদের দেশে টুর্নামেন্ট খেলতে যাবেন না রোহিতরা। পরিস্থিতি সামলাতে আসরে নামে আইসিসি। জানায়, পাকিস্তান নয়, দুবাইয়ে খেলবে টিম ইন্ডিয়া। সেই মর্মেই টুর্নামেন্টের সূচি ঘোষিত হয়। গ্রুপ স্টেজে তো বটেই, নকআউট স্তরে ভারত তাদের সমস্ত ম্যাচ দুবাইয়েই খেলবে। এমনকী লাহোরের আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম ফাইনালের ভেন্যু হিসেবে ঘোষিত হলেও বিরাটরা যদি ফাইনালে ওঠেন, তাহলে বিকল্প হিসেবে দুবাইয়ের ময়দানকে বেছে রেখেছে আইসিসি।
এই প্রেক্ষিতে ১৯ ফেব্রুয়ারি বেস ক্যাম্পে উড়ে গেছে ভারতীয় ক্রিকেট টিম। ইতিমধ্যে দু’দিনের ট্রেনিং সেশন সেরেও ফেলেছে তারা। যেখানে পরিচিত মেজাজে চোখে পড়েছেন কোহলি, রোহিত সহ অন্যান্যরা। যদিও চিন্তা বাড়িয়েছে বোলিং ইউনিট। বোলিং কোচ মর্নি মর্কেলের অনুপস্থিতিতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।
দুবাইয়ের ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ভারতের ভাগ্য মোটের উপর ঠিকঠাক। এখানে আয়োজিত ১৫টি ম্যাচের ১০টিতে জয়লাভ করেছে টিম ইন্ডিয়া। হেরেছে ৪টি ম্যাচ। ড্র করেছে ১টি। পাশাপাশি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো আইসিসির মেগা ইভেন্টে ৬ বার এই মাঠে নেমেছেন কোহলিরা। জিতেছেন ৫ বার, ১টি ড্র। একবারও হারের মুখ দেখেনি ভারত। ২১০৮ সালের এশিয়া কাপ জিতেছিল টিম ইন্ডিয়া। দুবাইয়ের মাঠেই কাপ হাতে তুলেছিল রোহিতের নেতৃত্বাধীন দল।
প্রসঙ্গত, খোদ অধিনায়ক রোহিত শর্মার দুবাই-ভাগ্য বরাবরই পয়মন্ত। এই মাঠেই পাঁচটি ওয়ান ডে-তে একটি শতরান ও দুটি অর্ধ-শতরান সমেত ৩১৭ রান হাঁকিয়েছেন তিনি। গড় ১০৫.৬৬। যদিও ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড রয়েছে প্রাক্তন খেলোয়াড়, রোহিতেরই একদা ওপেনিং সঙ্গী শিখর ধাওয়ানের দখলে। পাঁচ ম্যাচে তিনি করেছেন ৩৪২ রান। গড় ৬৮.৪০, স্ট্রাইক রেট ১০২.০৮।
মজার বিষয় একটাই। শুভমান গিলের সঙ্গে এবার ব্যাট হাতে যখন স্টেডিয়ামে পা রাখবেন রোহিত, তখন শিখর বসে থাকবেন ভিআইপি বক্সে। চাম্পিয়ন্স ট্রফির অন্যতম অ্যাম্বাসডর হিসেবে এবার তাঁকেই বেছে নিয়েছে আইসিসি।