Advertisement
পিভি বিষ্ণু এবং হিজাজি মাহের
Advertisement
শেষ আপডেট: 17 December 2024 21:23
দ্য ওয়াল ব্যুরো : এভাবেও ফিরে আসা যায়। মঙ্গলবার কলকাতার বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে সেই রূপকথার প্রত্যাবর্তন করেই দেখাল ইস্টবেঙ্গল এফসি। যে দলটা পঞ্জাবের বিরুদ্ধে ০-২ গোলে পিছিয়ে ছিল। কিন্তু, দ্বিতীয়ার্ধে নেমে তারা চারটে গোল করল। এমন দৃশ্য কলকাতা ফুটবলে শেষবার কবে-কোথায় দেখা গিয়েছে, তা নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠতেই পারে। ইস্টবেঙ্গল বুঝিয়ে দিল যে তারা বরাবরই খোঁচা খাওয়া বাঘ হয়ে ফিরে আসতে পারে। শেষপর্যন্ত ৪-২ গোলে তারা এই ম্যাচে জয়লাভ করে।
এই ম্যাচের প্রথমার্ধে ০-২ গোলে পিছিয়ে পড়েছিল অস্কার ব্রুজোঁর দল। ২০ মিনিটে পঞ্জাবকে লিড এনে দিয়েছিলেন আসমির সুলজিচ। ৩৮ মিনিটে সেই ব্যবধান বাড়িয়েছিলেন এজিকুয়েল ভিদাল। প্রথম ৪৫ মিনিটে লাল-হলুদের এই পারফরম্যান্স দেখে অনেকেই বলতে শুরু করেছিলেন যে ইস্টবেঙ্গল হয়ত আরও একবার ব্যর্থতার সেই উপসংহারই লিখতে বসেছে।
কিন্তু, হাফটাইমে অস্কারের গুরুমন্ত্রই গোটা দলের চেহারা একেবারে বদলে দিল। ঝিমিয়ে পড়া একটা দল দ্বিতীয়ার্ধে যেন বাঘের মতো গর্জন করে উঠল। অস্কারের চাণক্য বুদ্ধি ছাড়া যে এটা একেবারেই সম্ভব নয়, তা বলাই বাহুল্য।
এরপর মাঠে নামতে না নামতেই জ্বলে উঠল মশাল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই একটা গোল তারা শোধ করল। অনবদ্য একটি হেড করে লাল-হলুদের ব্যবধান কমালেন হিজাজি মাহের। ৫৩ মিনিটে পিভি বিষ্ণুর গোলে সমতা ফেরাল ইস্টবেঙ্গল। অবশেষে ৫৯ মিনিটে লিড নিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। পঞ্জাব এফসি-র ফুটবলার সুরেশ মেইতেইয়ের ভুলে এগিয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল।
অবশেষে মশালবাহিনীর হয়ে ইনস্যুরেন্স গোলটি করলেন ডেভিড লালনসাঙ্গা। ম্যাচের ৬৬ মিনিটে ৪-২ গোলে তারা এগিয়ে যায়। বিষ্ণুর ক্রস থেকে তাঁর নিখুঁত হেড পঞ্জাবের কফিনে শেষ পেরেকটা পুঁতে দিল।
Advertisement
Advertisement