শেষ আপডেট: 29th October 2024 22:55
একটা সময় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল যে লাল-হলুদ জার্সিতে আদৌ আনোয়ার আলি খেলতে পারবেন কি না, তা নিয়ে একরাশ আশঙ্কার কালো মেঘ জমা হয়েছিল। এতদিনে কাটল সেই জমে থাকা মেঘ। হল শাপমোচন। গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে জেতালেন 'বিতর্কিত ফুটবলার' আনোয়ার আলি।
আনোয়ার যখন ইস্টবেঙ্গল দলে যোগ দিয়েছিলেন, তখন থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট দাবি করে যে আনোয়ার চুক্তির মেয়াদ শেষ না করেই লাল-হলুদ ব্রিগেডে যোগ দিয়েছে। সেকারণে তাঁকে আর্থিক জরিমানা করার পাশাপাশি চার মাসের জন্য নির্বাসিত করা হয়েছিল। যদিও পরবর্তীকালে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের এই সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ জারি করে দিল্লি হাইকোর্ট। স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, যতদিন না পর্যন্ত এই মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে, ততদিন আনোয়ার নিশ্চিন্তে ইস্টবেঙ্গলে খেলতে পারেন।
তবে আনোয়ারের ইস্টবেঙ্গল যাত্রার শুরুটাও খুব একটা ভাল হয়নি। কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে তাঁর পায়ের তলা দিয়ে বল গলে গিয়েছিল এবং তাতে গোলও হয়। তা নিয়ে একাধিক বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। বয়ে গিয়েছিল সমালোচনার ঝড়। এমনকী, কলকাতা ডার্বিতেও আনোয়ার ম্য়াজিক একেবারে চোখে পড়েনি। শেষপর্যন্ত বসুন্ধরার বিরুদ্ধে তিনি যখন মোক্ষম সময়ে গোলটা করলেন, তখন সেই নিন্দুকরাই আনোয়ারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠেছেন।
প্রসঙ্গত, এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল এফসি। এই ম্যাচে বাংলাদেশের ফুটবল দলকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দেয় ইস্টবেঙ্গল। আর ম্য়াচের চতুর্থ গোলটাই আনোয়ারের পা থেকে বেরিয়ে আসে।
ইস্টবেঙ্গল দলের এই সেন্টার-ব্যাক ৩৩ মিনিটে বাঁ পায়ের একটি বাঁকানো শটে গোল পরিসংখ্যানে আরও একটি পালক যোগ করলেন। তবে এক্ষেত্রে বসুন্ধরা ডিফেন্সের ব্যর্থতা আরও একবার প্রকট হয়ে উঠল। একটা লম্বা থ্রো-ইন তারা ক্লিয়ার করতে পারল না।
এই জয়ের পাশাপাশি এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে কার্যত পৌঁছে গেল ইস্টবেঙ্গল। এ গ্রুপের পয়েন্ট তালিকায় তারা আপাতত দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। অন্যদিকে, এই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিল বসুন্ধরা কিংস। আগামী ১ নভেম্বর লেবাননের ক্লাব নেজমেহ এসসি-র বিরুদ্ধে খেলতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে।