শেষ আপডেট: 5th October 2024 19:38
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শুক্রবার বিনো জর্জ কথা দিয়েছিলেন, জামশেদপুর নাকি ইস্টবেঙ্গলের ঘরের মাঠ। এখানে তাঁরা যে কোনও মূল্যে তিন পয়েন্ট সংগ্রহ করতে পারবেন। কিন্তু, প্রতিশ্রুতিই সার! জামশেদপুর এফসি-র বিরুদ্ধেও নিভল গনগনে মশাল। ২-০ গোলে হারল ইস্টবেঙ্গল এফসি। এবারের আইএসএল টুর্নামেন্টে তারা টানা চার ম্যাচে পরাস্ত হল।
এবারের ইন্ডিয়ান সুপার লিগে হারের হ্যাটট্রিক আগেই করেছিল ইস্টবেঙ্গল। এবার জামশেদপুরের জয় লাল-হলুদের সেই কাটা ঘায়ে যে নুনের ছিটে দিল, সেটা আর আলাদা করে বলে দেওয়ার দরকার নেই। যে ব্যর্থতার দায় নিয়ে কার্লেস কুয়াদ্রাত এই দলের দায়িত্ব ছেড়েছিলেন, সেই দায় ঝাড়তে পারলেন না বিনো জর্জও। এবার ইস্টবেঙ্গলের নতুন হেড কোচ কতদিনে কনফার্ম করা হয়, সেই সিদ্ধান্তের অপেক্ষাই আপাতত লাল-হলুদ সমর্থকরা করছেন।
এবার ম্যাচের কথায় আসা যাক। শনিবাসরীয় ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলকে বেশ খানিকটা নিষ্প্রভই লাগে। আর সেই সুযোগটাই কাজে লাগিয়েছে জামশেদপুর এফসি। শুরু থেকেই তারা একের পর এক সুযোগ তৈরি করতে থাকে। অবশেষে ২১ মিনিটে আসে প্রথম গোল। স্কোরার রেই তাচিকাওয়া। শনানের থেকে বক্সের ঠিক বাইরেই তাচিকাওয়া বলটা পেয়েছিলেন। তিনি বল দখলের পর ঠাণ্ডা মাথায় গোল পোস্টের টপ লেফট কর্নার দিয়ে লাল-হলুদের জালে জড়িয়ে দেন। বলটা দেবজিতের নাগালের মধ্যেও ছিল না।
প্রথমার্ধে এক গোলে এগিয়ে থাকার কারণে জামশেদপুরের আত্মবিশ্বাস কার্যত দ্বিগুণ হয়ে যায়। পরের ৪৫ মিনিটে সেই ছবিটাই দেখতে পাওয়া গেল। একের পর এক আক্রমণে লাল-হলুদের রক্ষণকে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে তারা ফেলছিল। যদিও ৭০ মিনিটে লাল চুনুঙ্গার আত্মঘাতী গোলে জামশেদপুরের শাপে বর হয়ে যায়।
ইস্টবেঙ্গলের কাছে এর থেকে খারাপ পরিস্থিতি আর কিছু হতে পারে না। বক্সের মধ্য়ে ইমরান খানের পাস লাল চুনুঙ্গার পায়ে লেগে মশালবাহিনীর বিপদ আরও বাড়িয়ে দেয়। এরপর বাকি ম্যাচে আর কোনও দলই গোলপার্থক্য বাড়াতে কিংবা কমাতে পারেনি। ডার্বি ম্যাচের আগে ইস্টবেঙ্গল দলের এই পারফরম্যান্স লাল-হলুদ ম্যানেজমেন্টকে কিছুটা হলেও যে অস্বস্তিতে রাখবে, তা বলা যেতেই পারে।