শেষ আপডেট: 9th November 2024 23:50
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শনিবার (৯ নভেম্বর) কলকাতার বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন এক নজিরবিহীন দৃশ্যের সাক্ষী হল। মাত্র ১ মিনিটের মধ্যে জোড়া লাল কার্ড দেখল ইস্টবেঙ্গল এফসি। ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ইতিহাসে এমন ঘটনা প্রথমবার দেখতে পাওয়া গেল। সৌজন্যে ম্যাচ রেফারি হরিশ কুণ্ডু।
এমন সিদ্ধান্তের পর লাল-হলুদ সমর্থকরা বেজায় রেগে গিয়েছেন। আশা করেছিলেন যে ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজোঁও এই ব্যাপারটা নিয়ে মুখ খুলবেন। কিন্তু, ম্যাচের শেষে সাংবাদিক বৈঠক করতে এসে রেফারিং নিয়ে একটা কথাও অস্কারের মুখে শুনতে পাওয়া গেল না।
গত ৬ ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল একটাও পয়েন্ট সংগ্রহ করতে পারেনি। অবশেষে সপ্তম ম্যাচে তারা মহমেডান স্পোর্টিংয়ের বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করার সুবাদে একটা পয়েন্ট ঝুলিতে পুরতে পেরেছে। তবে এই এক পয়েন্টই ইস্টবেঙ্গলের আত্মবিশ্বাস ১০০ শতাংশ বাড়িয়ে দেবে, তা নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে।
অস্কার বললেন, 'আমরা এই ম্যাচটা হয়ত জিততে পারিনি। কিন্তু, হারিওনি। এই ড্র আমাদের কাছে একটা নৈতিক জয়। তবে আমাদের আসল লক্ষ্য হল ম্যাচ জিতে পয়েন্ট সংগ্রহ করা। আশা করছি, পরের ম্যাচে আমরা অবশ্যই জিততে পারব।'
পাশাপাশি লাল-হলুদ ফুটবলারদের এমন লড়াকু পারফরম্য়ান্সের জন্য় আলাদা করে ধন্যবাদ জানালেন অস্কার। বললেন, 'এই পারফরম্যান্সের কৃতিত্বটা সম্পূর্ণই দলের ফুটবলারদের। আমার একেবারেই নয়। কখন কীভাবে পারফরম্য়ান্স করতে হয়, সেটা আমার দলের ছেলেরা খুব ভাল করে জানে। আমরা এই ম্যাচেও গোল করার চেষ্টা করেছি। কারণ এটাই তো আসল উদ্দেশ্য। সুযোগও পেয়েছিলাম। কিন্তু, সেটা কাজে লাগাতে পারিনি।'
শনিবাসরীয় মিনি ডার্বি যত শেষের দিকে এগিয়েছে, গোটা সল্টলেক স্টেডিয়াম জুড়ে 'ইস্টবেঙ্গল-ইস্টবেঙ্গল' গর্জন ততই আকাশ ফাটিয়েছে। দলের সমর্থকরা এই ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের যে অন্য়তম চালিকা শক্তি ছিল, তা বলা যেতেই পারে। লাল-হলুদ সমর্থকদের উদ্দেশে অস্কার বললেন, 'আমরা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। আপনারা পাশে থাকুন। আপনাদের সমর্থনই এই দলটাকে লড়াইয়ের রসদ দেবে। আগামী ম্যাচে আমরা জয়ের লক্ষ্যেই মাঠে নামব।' প্রসঙ্গত, ২০ দিন পর ইস্টবেঙ্গলের পরের ম্যাচ। নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড এফসি-র ঘরের মাঠে তাদের খেলতে হবে। ততদিনে এই দলটাকে অস্কার যে আরও কিছুটা গুছিয়ে নিতে পারবেন, তা বলা যেতে পারে।