শেষ আপডেট: 11th January 2025 23:12
দ্য ওয়াল ব্যুরো : চলতি ISL টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় লেগের ডার্বিতে মুখোমুখি হয়েছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট এবং ইস্টবেঙ্গল এফসি। এই ম্যাচে মেরিনার্সরা শেষপর্যন্ত ১-০ গোলে জয়লাভ করে। বাগানের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেছেন অজি ফরোয়ার্ড জেমি ম্যাকলারেন। তবে এই ম্যাচে রেফারির একটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ইস্টবেঙ্গলের হাত থেকে কার্যত পয়েন্ট কেড়ে নিয়েছে। চোখ এড়িয়ে গিয়েছে একটি নিশ্চিত হ্যান্ডবল। আর সেকারণেই ম্যাচের শেষে ক্ষোভ উগরে দিলেন লাল-হলুদ কোচ অস্কার ব্রুজোঁ।
ডার্বি ম্যাচের শেষে সাংবাদিক বৈঠক করতে আসেন মশালবাহিনীর স্প্যানিশ কোচ। সেখানে তিনি বলেন, 'মোহনবাগানের হ্যান্ডবলটা একেবারেই স্পষ্ট ছিল। কিন্তু, সেটা রেফারির চোখ এড়িয়ে যায়। এটা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক একটি ঘটনা।' সেইসঙ্গে তিনি আরও যোগ করেছেন, 'আমার দল যেভাবে খেলেছে, তা নিয়ে আমি সত্যিই গর্বিত। কিন্তু, ম্যাচের ফলাফল নিয়ে আমি যারপরনাই হতাশ। হয় আমরা লাল কার্ড দেখে ১০ জনে খেলছি। নয়ত ন্যায্য পেনাল্টি থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। এটা কখনই কাম্য নয়।'
ম্যাচের ৪৫+২ মিনিটে একটা নিশ্চিত পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত হয় ইস্টবেঙ্গল। বলটা নিয়ে বক্সের মধ্যে প্রবেশ করেছিলেন পিভি বিষ্ণু। তিনি গোলমুখী একটা শট মেরেছিলেন। কিন্তু, বলটা স্পষ্টতই আপুইয়ার হাতে লাগে। কিন্তু, সেটা ম্যাচ রেফারির চোখ এড়িয়ে যায়। তিনি খেলা চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। রেফারির এই সিদ্ধান্ত লাল-হলুদ ফুটবলাররাও যারপরনাই হতাশ হয়ে পড়েন। এই ম্যাচের ফলাফল লাল-হলুদ ব্রিগেডের পক্ষে যায়নি। তার অন্যতম বড় কারণ অবশ্যই ম্যাচ রেফারির এই সিদ্ধান্ত।
এর পাশাপাশি জোড়া হলুদ কার্ড দেখেছেন ইস্টবেঙ্গল ফুটবলার শৌভিক চক্রবর্তী। ম্যাচের ৩৯ মিনিটের প্রথম হলুদ কার্ড দেখেছিলেন শৌভিক। আপুইয়াকে ফাউল করার জন্য তাঁকে এই কার্ড দেখা হয়েছিল। তখনই নিশ্চিত হয়ে যায় যে পরের ম্যাচে শৌভিক ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলতে পারবেন না। এরপর ৬৪ মিনিটে আবারও তাঁকে হলুদ কার্ড দেখানো হয়। এবার তিনি লিস্টনকে আটকাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু, বলে তিনি টাচ করতে পারেননি। সরাসরি লিস্টনকে বাধা দেন তিনি। আর সেইসঙ্গে ম্যাচ রেফারি দ্বিতীয় হলুদ কার্ড বের করতে কোনও ভুল করলেন না। আর সেটা সঙ্গে সঙ্গে লাল কার্ডে পরিণত হয়। শৌভিক রেফারিকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও, তাতে কোনও লাভ হয়নি। শেষপর্যন্ত মাঠ ছেড়ে তাঁকে বেরিয়ে যেতে হয়। রেফারির এই জোড়া সিদ্ধান্তই মেনে নিতে পারেননি অস্কার ব্রুজোঁ।