শেষ আপডেট: 21st December 2024 21:14
দ্য ওয়াল ব্যুরো : অবশেষে কাটল ফাঁড়া। গোল করল ইস্টবেঙ্গল। দিমিত্রিয়স দিয়ামান্তাকোসের পা থেকে বেরিয়ে এল সেই স্বপ্নের মুহূর্ত। ৬০ মিনিটে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল এফসি।
ম্যাচের প্রথমার্ধে একটা সহজ গোলের সুযোগ মিস করেছিলেন নন্দকুমার শেখর। দ্বিতীয়ার্ধে সেই শাপমোচনই যেন করলেন তিনি। দ্বিতীয়ার্ধের দ্বিতীয় কোয়ার্টারে তিনি ডান দিক থেকে একটা লো ক্রস বাড়িয়েছিলেন। এই পাস এককথায় অনন্য সাধারণ ছিল।
ইতিমধ্যে লাল-হলুদ সমর্থকদের একাংশ নন্দকুমারের এই ক্রস নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করতে শুরু করেছেন। আদৌ তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে এই ক্রসটা বাড়িয়েছিলেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
সে যাইহোক, জামশেদপুরের ডিফেন্স চিরে বলটা দিয়ামান্তাকোসের পায়ে যায়। এরপর ইস্টবেঙ্গলের গ্রিক ফরোয়ার্ড কার্যত ফাঁকা গোলে বলটা শুধু বাড়িয়ে দেন। এই গোলের ৫ মিনিট পরই দিয়ামান্তাকোসকে তুলে নেন লাল-হলুদ কোচ অস্কার ব্রুজোঁ। তাঁর বদলে মাঠে নামেন ডেভিড হামার। শনিবারের এই পারফরম্যান্সে দিয়ামান্তাকোস যে খুশি হবেন, তা বলা যেতেই পারে।
এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, ম্য়াচের প্রথমার্ধেও কিন্তু লিড নেওয়ার সুযোগ মশালবাহিনীর কাছে এসেছিল। ম্যাচের ৩৭ মিনিটে নন্দকুমার শেখর যে সুবর্ণ সুযোগ এসেছিল, সেটা গোটা ম্যাচে আর আসবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। ক্লেইটনকে লক্ষ্য করে হাওয়ার বলটা ভাসিয়ে দিয়েছিলেন আনোয়ার। ক্লেইটন অসাধারণ দক্ষতায় বলটা নিজের নিয়ন্ত্রণে নেন। এরপর তিনি নন্দকুমারের দিকে থ্রু বল বাড়িয়েছিলেন।
বলটা নিয়ে বক্সের মধ্যে ঢুকেও আসেন নন্দকুমার। বিপক্ষের গোলকিপার অ্যালবিনো গোমস একেবারে তাঁর সামনে ছিলেন। আর কেউ নয়। যেন পেনাল্টি শট পরিস্থিতি। এই জায়গায় যে কোনও দিকে নন্দ বলটা বাড়াতে পারতেন। তাহলেই নিশ্চিত গোলের ঠিকানা লেখা হয়ে যেত। কিন্তু, তিনি বলটা সোজা জামশেদপুর গোলকিপারের হাতে বাড়িয়ে দেন। শেষপর্যন্ত হতাশায় ভেঙে পড়েছিলেন নন্দ।