শেষ আপডেট: 13th February 2025 13:35
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গতকাল সেল্টিক পার্কে বায়ার্ন মিউনিখের মুখোমুখি হয়েছিল স্কটিশ ক্লাব সেল্টিক। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে জার্মানির ক্লাবটি জয়লাভ করে। ২-১ ব্যাবধানে জিতে ঘরের মাঠে এক গোলের লিড নিয়ে ফিরেছে ভিনসেন্ট কোম্পানির টিম। কিন্তু মাঠের লড়াইকে ছাপিয়ে গেছে মাঠের বাইরের দৃশ্য। যেখানে স্ট্যান্ডে একটি বিশেষ বার্তা লেখা ব্যানার লাগিয়ে নিজেদের মত সোচ্চারে ঘোষণা করেন সেল্টিক সমর্থকেরা। ব্যানারে লেখা ছিল: ‘ইজরায়েলকে লাল কার্ড দেখাও’ (শো ইসরায়েল দ্য রেড কার্ড)।
আজ নয়। দীর্ঘদিন ধরে স্কটল্যান্ডের এই ঐতিহাসিক ক্লাবের সমর্থকেরা ইজরায়েল-বিরোধী অবস্থানে অনড় রয়েছেন। অতীতেও প্যালেস্তাইনের পক্ষে দাঁড়িয়ে বহুবার সরব হয়েছেন তাঁরা। গতকাল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিকেও তাঁরা প্রতিবাদের মঞ্চ হিসেবে বেছে নেন। লাল কার্ড দেখানোর ঘোষণা অর্থাৎ, ফুটবল থেকে ইসরায়েল দলকে চিরতরে নির্বাসন দেওয়ার আর্জি জানিয়েই ক্ষান্ত হননি সেল্টিক সমর্থককুল। বার্তায় ‘ইজরায়েল’ শব্দটিকে উদ্ধৃতি চিহ্নের মধ্যে রেখে তাকে লাল রঙে রাঙিয়ে তুলেছিলেন। এমনভাবে ব্যানারটি লেখা হয়েছিল যাতে মনে হয় ‘ইজরায়েলে’র গা থেকে লাল রক্ত চুইয়ে চুইয়ে পড়ছে।
গতকাল ম্যাচ শুরুর আগে থেকেই সেল্টিক সমর্থকেরা দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। ইসরায়েলকে ফুটবল থেকে বাতিল করার দাবি জানিয়ে বিলি করা হয় লিফ্লেটও। স্কটল্যান্ডের এই ক্লাবে এর আগেও বহু ইজরায়েলি তারকা ফুটবলার খেলে গেছেন। লিয়েল আবাদার মতো স্ট্রাইকার গত মরশুমে দলে ছিলেন। তবু ইজরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পিছপা হননি স্কটিশ ক্লাব সমর্থেকেরা। ঘরোয়া লিগ ম্যাচে এর আগে বহুবার ‘ফ্রি প্যালেস্তাইন’, ‘ভিকট্রি টু দ্য রেসিস্ট্যান্স’ লেখা ব্যানার মেলে ধরেছিলেন তাঁরা। যার জেরে ক্লাব ছাড়তে বাধ্য হন আবাদা।
স্কটিশ লিগে সেল্টিক-রেঞ্জার্সের দ্বৈরথ ঐতিহাসিক। ওল্ড ফার্ম ডার্বি নামে যা দুনিয়াজুড়ে খ্যাত। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অবস্থানেও এর ছাপ পড়েছে। একদিকে সেল্টিক পার্ক যেমন খেলোয়াড়দের তাতাতে প্যালেস্টাইনের নাম ধরে দেওয়া সোচ্চার জয়ধ্বনিতে উদ্বেল হয়ে ওঠে। অন্যদিকে রেঞ্জার্সের অনুরাগীরা মাঠে কাঁপান ইজরায়েলের পক্ষ নিয়ে। গতাকাল এরই ছাপ ফের একবার দেখা গেল স্কটল্যান্ডের ময়দানে।