শেষ আপডেট: 11th March 2024 12:45
দ্য ওয়াল ব্যুরো: চলতি আইএসএলে বারবারই ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাত রেফারির সমালোচনা করেছেন। রবিবার ডার্বিতেও রেফারির সঙ্গে তর্ক করতে গিয়ে হলুদ কার্ড দেখতে হয়েছে স্প্যানিশ কোচকে। এই নিয়ে ম্যাচ শেষেও তিনি রেফারিং নিয়ে সরব হয়েছেন।
ম্যাচে কুয়াদ্রাতের কৌশল নিয়েও নানা কথা হচ্ছে। কেন তিনি ম্যাচের শুরু থেকে রক্ষণাত্মক পদ্ধতি অবলম্বন করলেন, সেই নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যেখানে এই ম্যাচ জিতলে ইস্টবেঙ্গলের প্লে অফে খেলার সম্ভাবনা কিছুটা হলেও বাড়ত, তারপরেও কেন তিনি খোলসে ঢুকে থাকলেন!
সবথেকে বড় কথা, মোহনবাগান যেমন এ ম্যাচে পূর্ণ শক্তির দল পেয়েছে, তেমনি লাল হলুদ দলও পুরো শক্তির দল খেলিয়েছে। তারপরেও দলের পরিকল্পনা সাজাতে গিয়ে একা ক্লেটন সিলভাকে তিনি আক্রমণে রেখেছিলেন।
কুয়াদ্রাতকে ম্যাচ শেষে তুমুল কটাক্ষে ভরিয়ে দিয়েছেন মোহনবাগানের প্রাক্তন সচিব সৃঞ্জয় বসু। তিনি বলেছেন, কার্লোস কুয়াদ্রাত ফুটবল দলের কোচিং না করে কুস্তি দলের কোচিং করাতে পারতেন! তিনি কি দলের ফুটবলারদের মাথা গরম করার কৌশল শেখান? না হলে সব ফুটবলারের মধ্যে মারপিট করার প্রবণতা কেন!
ওই বাগান কর্তা আরও জানিয়েছেন, ‘‘অন্যদের মতো আমিও শুরুতে কুয়াদ্রাতের কোচিংয়ের ফ্যান হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমি দেখেছি, উনি প্রচণ্ড দাম্ভিক প্রকৃতির। নিজে যা বোঝেন, সেটাই করেন! আমার তো মনে হয় তিনি যদি ভারতের কুস্তি দলের দায়িত্ব নেন, তা হলে প্যারিস অলিম্পিক্সে ভারতের সোনা আসবেই!’’
ময়দানের প্রাক্তন ফুটবলারদের মধ্যেও কুয়াদ্রাতের কোচিং নিয়ে বিস্তর সমালোচনা হচ্ছে। মিহির বসু কিংবা প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়রা যেমন বলেছেন, কুয়াদ্রাতের কাছে নামী দুই স্ট্রাইকার ক্লেটন সিলভা ও নন্দকুমার থাকতেও তিনি প্রথমার্ধে কেন রক্ষণাত্মক খেললেন, সেটি বোঝা যায়নি।