
অনির্বাণকে সুস্থ করে গ্যালারিতে ফেরাতে কোমর বেঁধে নামলেন সমর্থকরা
দ্য ওয়াল ব্যুরো: হিন্দমোটর স্টেশনের পাশে ছোট্ট একটা বাসনের দোকান দ্বিজেন কংসবণিকের। ইদানীং খুব একটা চলেও না। অনটনের সংসার। এর মধ্যেই মাস কয়েক আগে নিজের চোখের অস্ত্রোপচারের জন্য খরচ করেছেন লক্ষাধিক টাকা। একেবারেই হাত ফাঁকা। বৃহস্পতিবার যখন ছেলে বারাসত স্টেডিয়াম থেকে বাড়ি ফিরেছিল মাথায় পাঁচটি সেলাই নিয়ে, তখন বুঝতেও পারেননি সেই ছেলেকেই ভর্তি করতে হবে আইসিইউতে। একে বেসরকারি নার্সিং হোম। তার উপর মাথায় আঘাত। অনেকগুলো টাকা লাগবে ইস্টবেঙ্গল সমর্থক অনির্বাণ কংসবণিকের চিকিৎসায়। বালির এই নিম্নবিত্ত পরিবারের মাথায় বাজ পড়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার দুপুর অবধি যে মেঘ জমেছিল দ্বিজেনবাবুর মনে, সন্ধে বেলা তা কেটে গেল অনেকটাই।
আইএফএ শিল্ডের ফাইনালে মিনি ডার্বিতে বারাসত স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় সমর্থক সংঘর্ষে আহত ইস্টবেঙ্গল সমর্থক বালির অণির্বানের অবস্থার অবনতি হয় সোমবার রাত থেকে। নিয়ে যাওয়া হয় বাঙ্গুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোলজিতে। বেড না পেয়ে সেখান থেকে তপসিয়ার একটি নার্সিং হোম। অনির্বাণকে আবার সুস্থ করে গ্যালারিতে ফেরাতে নেমে পড়লেন লাল-হলুদ সমর্থকরা। অর্থ সংগ্রহ করতে হোয়াটস অ্যাপ এবং ফেসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয় অনির্বাণের বাবা দ্বিজেনবাবুর স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার বালি ঘোষ পাড়া শাখার অ্যাকাউন্টের পাস বইয়ের ছবি। ইতি মধ্যেই সেই অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়তে শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে। বিকেলে বালিতে অনির্বাণের বাবার সঙ্গে দেখা করতে যান ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কয়েকজন কর্তা। জানা গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার কলকাতায় নেই। বুধবার সকালে শহরে ফেরার কথা তাঁর। তিনি ফেরার পর অন্যান্য কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে বুধবার বিকেলেই ক্লাবে ডাকা হতে পারে দ্বিজেনবাবুকে।
পাথরের আঘাতে কপালের হাড় ভেনেছে অনির্বাণের। মস্তিষ্কে জমাট বেঁধে রয়েছে রক্তও। অস্ত্রোপচার করতে হবে কিনা সে বিষয়ে চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নেবেন ৭২ ঘণ্টা দেখার পর।