শেষ আপডেট: 30th November 2023 17:12
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কলকাতা লিগে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ৩০ তারিখ খেলা ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু এই তারিখ নিয়ে আপত্তি ছিল সবুজ-মেরুন শিবিরের। আইএফএ-কে চিঠি লিখে নিজেদের আপত্তির কথা জানায় তারা। কিন্তু আইএফএ তাতে আমল না দেওয়ায় বৃহস্পতিবার ডার্বি খেলতে নৈহাটি গেল না মোহনবাগান। তাই ম্যাচ না খেলেই ডার্বি জিতে গেল ইস্টবেঙ্গল!
চলতি মরশুমে কলকাতা লিগ ইতিমধ্যে জিতে গিয়েছে মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। কিন্তু লিগের বড় ম্যাচ বাকি ছিল। বৃহস্পতিবারই সেই ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল। এদিন ম্যাচের প্রায় দু’ঘণ্টা আগেই ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা মাঠে পৌঁছে যায়। কিন্তু মোহনবাগান দলের দেখা নেই। ম্যাচ শুরুর সময়ও এসে যায়, কিন্তু মোহনবাগান দল না আসায় খেলা শুরু করাতে পারেননি রেফারি। ঘণ্টা খানেক অপেক্ষা করার পর ইস্টবেঙ্গলকে বিজয়ী ঘোষণা করেন তিনি। ম্যাচ না খেলেই ওয়াকওভারে তিন পয়েন্ট চলে আসে লাল-হলুদ বাহিনীর ঘরে। সূত্রের খবর, ম্যাচ খেলতে না আসায় মোহনবাগান শাস্তির মুখে পড়তে পারে।
ডার্বি মানেই বাংলার মানুষের মধ্যে আলাদা আবেগ ও উন্মাদনা কাজ করে। কলকাতা লিগ হোক বা ডুরান্ড কাপ কিংবা আইএসএল --- ডার্বি মানেই গ্যালারি থাকে কাণায় কাণায় ভর্তি। কিন্তু বৃহস্পতিবারের ডার্বি নিয়ে তেমন উত্তেজনা চোখে পড়েনি। এদিনের ম্যাচ খেলতে যে মোহনবাগান আসবে না, তা এক প্রকার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলেন সবুজ-মেরুন সমর্থকরা। তাই নৈহাটি মাঠের গ্যালারিতে লাল-হলুদ সমর্থকরা থাকলেও মোহনবাগান সমর্থকদের দেখা যায়নি।
বৃহস্পতিবারের ডার্বি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা গিয়েছিল বেশ কয়েকদিন ধরেই। মোহনবাগানের দাবি ছিল, কলকাতা লিগের ডার্বির তারিখ পাল্টানো হোক। এই বিষয়ে তারা চিঠি দেয় আইএফএ-কে। বুধবার দুপুরে আইএফএ অফিসে চিঠি পাঠিয়ে ম্যাচ পিছনোর শেষ চেষ্টা করেছিল সবুজ-মেরুন শিবির। কিন্তু বাংলার ফুটবল নিয়ামক সংস্থা নিজেদের সিদ্ধান্তেই অটল থাকে।
এর আগে ২০১৬ সালেও কল্যাণীতে বড় ম্যাচ খেলতে যায়নি মোহনবাগান। সেবারও ইস্টবেঙ্গল ওয়াকওভারে তিন পয়েন্ট পেয়েছিল। সাত বছর পর ফের সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখল কলকাতা ময়দান।