
সমাধানের রাস্তা খুলতে ইস্টবেঙ্গলের শাসকগোষ্ঠী দ্বারস্থ প্রাক্তন সচিব তথা বিরোধী কর্তার
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বলা হয়, বিপদে যে পাশে থাকে, সেই আসল বন্ধু। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল ক্লাব প্রশাসন এবার এমন একজনের সহায়তা চাইলেন, তিনি দলের বিরোধী কর্তার মুখ, তাঁর নাম পার্থসারথী সেনগুপ্ত। তিনি নামী আইনজীবীও বটে। এর আগেও ক্লাবের হয়ে একাধিক মামলা তিনি লড়ে সফল হয়েছেন।
পার্থবাবু এর আগে ইস্টবেঙ্গলের সচিবও ছিলেন, এবং দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছিলেন। তাই ইনভেস্টর শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে টার্মশিট নিয়ে যে বিতর্ক ও জট রয়েছে, সেটি খুলতে বর্তমান ক্লাব প্রশাসন প্রাক্তন সচিবের দ্বারস্থ।
এমনিতেই ইনভেস্টর ও ক্লাবের মধ্যে যোগসূত্রের জন্য শিবাজী সমাদ্দার রয়েছেন। আবার শ্রেণিক শেঠকেও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা বিষয়টি নিয়ে বেশিদূর এগোতে পারেননি। তাই আইনজীবী পার্থবাবুর দ্বারস্থ কর্তারা। ক্লাবের নামী কর্তা দেবব্রত সরকারও এ খবর জানিয়ে বলেছেন, ‘‘হ্যাঁ, আমরা পার্থবাবুর সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেছি, তিনি আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন আইনি মত জানিয়ে সহায়তা করবেন। উনি আমাদের বিরোধী হতে পারেন, কিন্তু ক্লাবের ভাল উনিও চান।’’
ইনভেস্টর এবং এফএসডিএলের মধ্যস্থতাকারীর সঙ্গেও কথা চালিয়ে যাচ্ছেন লাল-হলুদ কর্তারা। যে কারণে, ‘এক্সিট ক্লজে’ নতুন করে কিছু পরিবর্তন আসতে চলেছে। একই সঙ্গে সদস্য-সমর্থকদের ক্লাবে প্রবেশের ব্যাপারে যে বিধি নিষেধ চুক্তিপত্রে রয়েছে, সেখানেও কিছুটা শিথিলতা আনার কথা ভাবা হচ্ছে।
ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের এদিনের কর্মসমিতির বৈঠকে ঠিক হয়েছে, পার্থসারথী সেনগুপ্তকে এই ব্যাপারে সমাধানের পথ খোলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি আগামী ১০ দিনের মধ্যে নিজের মত জানিয়ে দেবেন। তারপরেই ক্লাব থেকে এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।