
এমনকি বাঙুর গোষ্ঠীর কর্নধার তথা শ্রী সিমেন্ট ফাউন্ডেশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হরিমোহন বাঙুর কলকাতায় থাকা সত্বেও সেই অনুরোধ রাখেননি। তাঁরা নানা শর্ত চাপিয়ে গিয়েছেন ক্লাব প্রশাসনের ওপর।
এই নিয়ে লাল হলুদের নামী কর্তা দেবব্রত সরকার এদিন বলেছেন, ‘‘আমরা সমঝোতার নানা চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু যারা একের পর এক শর্ত চাপিয়ে আমাদের চাপে ফেলতে চাইছে, তাদের মোটিভ নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।’’
তিনি আরও জানান, ‘‘এই চুক্তিতে সই করা মানে পুরো ক্লাব ও তাঁবু তাদের হাতে তুলে দেওয়া। এই ক্লাব আমাদের নয়, এটা সদস্য, সমর্থকদের ক্লাব। তাঁরা যদি আমাদের কাছে কৈফিয়ত চান, আমরা তার কি উত্তর দেব? এটা কেউ কী ভেবে দেখেছেন?’’
লাল হলুদ কর্তার দাবি, শ্রী সিমেন্ট মোট ৪১টি শর্ত দিয়েছিল তার অনেকগুলিই মেনে নিয়েছিল ক্লাব। কিন্তু দলের জার্সি, লোগো সব বদলে ফেলতে চাইছে তারা, এটা কী করে সম্ভব? তার চেয়ে বড় কথা, সচিব ও সভাপতি কোথায় বসবেন, সেটিও বলা নেই। তাঁদের আদৌ তাঁবুতে বসার জায়গা হবে কিনা, সেটিও বলা হয়নি। এরকম চাপিয়ে দেওয়া শর্তে সই আমরা করতে চাইনি।
যদিও লাল হলুদ ক্লাবের পক্ষ থেকে আভাস দেওয়া হয়েছে, শ্রী সিমেন্ট যদি শেষমেশ তাদের ছেড়ে চলেও যায়, তারা অথৈ জলে পড়বে না। কারণ তাদের বিকল্প ইনভেস্টর তৈরি রয়েছে। সেই কারণেই বিনিয়োগকারী সংস্থাদের ক্ষমতা দখল তারা মানতে চাননি।
সেই কথাও মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁরা বলবেন। যদিও মুখ্যমন্ত্রী ক্ষুব্ধ ইনভেস্টরের ওপর। তিনি গতকালই বলেছিলেন, ‘‘১৬ অগাস্ট আমাকে বলা হয়েছিল সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, তারপর এতদিন ঝুলিয়ে রেখে ক্লাবের পাশ থেকে সরে যাওয়া আমি মানতে পারছি না। প্রয়োজনে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পাশে সকলের থাকা উচিত’’, সেই বার্তাও মমতা দিয়েছিলেন।
বুধবারের বৈঠকে রফাসূত্র বেরবে, না নতুন কোনও দিশা ইস্টবেঙ্গল কর্তারা পান কিনা, সেটাই দেখার। তবে এবার যাই হোক না কেন, এবার মুখ্যমন্ত্রীর সামনে সবকিছুই ‘পাকা কাজ’ করে রাখতে চান লাল হলুদ কর্তারা, আর গতবারের ভুল তাঁরা করবেন না।