
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ইস্টবেঙ্গলে (East Bengal) বিনিয়োগদাতা কে, কলকাতা ময়দানে এটা বড় প্রশ্ন। প্রথমে বলা হয়েছিল, ১৫ এপ্রিল বাংলা নববর্ষের দিন নতুন ইনভেস্টরের (Investor) নাম প্রকাশ করা হবে। কিন্তু সেটি হয়নি। সেই নিয়ে ক্লাবের অন্দরে কানাঘুষো বাড়তে থাকে। বলা হয়, বাংলাদেশের বসুন্ধরা গ্রুপ আর আগ্রহ না দেখানোতেই সমস্যা তৈরি হয়েছে।
বসুন্ধরা আগ্রহ না দেখানোয় লাল হলুদ কর্তারা এবার বিদেশে পা বাড়াতে চলেছেন। তাঁরা ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের (Manchester United) অংশীদার গ্লেজার স্পোর্টসের সঙ্গে ইতিমধ্যেই কথা বলেছে। সম্প্রতি ম্যান ইউ-র এক শীর্ষ কর্তা কলকাতায় এসে ঘুরে গিয়েছেন। ম্যান ইউ-র জার্সি দিয়ে গিয়েছেন দুই শীর্ষ কর্তা কল্যাণ মজুমদার ও দেবব্রত সরকারকে।
Mohun Bagan: বাগানে বাবলুকে প্রেসিডেন্ট চান প্রসূন, দেবাশিস বললেন, ‘ওসব বলে লাভ নেই’
ম্যাঞ্চেস্টারের সঙ্গে চুক্তি সারলে সেটি ভারতীয় ফুটবলের কাছে মাইলফলক হয়ে থাকবে। এই প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার ক্লাবের সহসচিব ডাঃ শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্ত বলেছেন, ‘‘ম্যান ইউ-র সঙ্গে আমাদের সম্পর্কসাধন হতেই পারে। তবে আমরা প্রতি ক্ষেত্রেই দেখব, আমাদের দলগঠন যেন ভাল হয়, আর আমাদের খেলার উৎকর্ষতা যেন ভাল হয়।’’

লাল হলুদের ডাক্তার কর্তা আরও বলেছেন, ‘‘শ্রী সিমেন্ট আমাদের সঙ্গে যা করে গিয়েছে, সেটি আমাদের পক্ষে লজ্জার। আইএসএলে আমরা ১১ নম্বরে শেষ করেছি, সেটি আমাদের সদস্য-সমর্থকদের কাছে বড় আঘাত। তাই যেই আমাদের বিনিয়োগকারী সংস্থা হোক না কেন, দলীয় স্বার্থ আগে দেখতে হবে, এটাই আবশ্যিক শর্ত।’’
ম্যাঞ্চেস্টারের সঙ্গে গাঁটছড়া বাধার বিষয়ে ইস্টবেঙ্গলকে সহায়তা করছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি উদ্যোগী হয়েছেন, এমনকি সম্প্রতি লাল হলুদের দুই কর্তা সিএবি-তে বৈঠকও সারেন সৌরভের সঙ্গে। পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে নবান্নরও দ্বারস্থ হয়েছে।
রাজ্য সরকারের বৈদেশিক নীতি আধিকারিকদের দল এই মুহূর্তে বিদেশে রয়েছেন। তাঁরা ফিরলেই ম্যান ইউ-র সঙ্গে কথা বলতে লন্ডনে যেতে পারেন। লাল হলুদের প্রতিনিধিরাও যেতে পারেন রোনাল্ডোদের ক্লাবে।
শান্তিরঞ্জন জানিয়েছেন, এর আগেও আমাদের সঙ্গে লেস্টারের চুক্তি হয়েছিল। তাতে যদিও আর্থিক লেনদেন কিছু ছিল না। আমরা লেস্টারে গিয়েছিলাম কয়েকটি প্রদর্শনী ম্যাচ খেলতে। সেবার লেস্টারের আলেক্স ভাজ উদ্যোগী হয়েছিলেন সম্পর্ক তৈরির ব্যাপারে। ম্যান ইউ যদি আসে অবশ্যই স্বাগত, কিন্তু দেখতে হবে যাতে ভালমানের দলগঠনের দায়িত্ব নেয় তারা। কারণ ইস্টবেঙ্গল ১১ নম্বর হওয়ার জন্য খেলে না, তারা চ্যাম্পিয়ন হতেই মাঠে নামে।