শেষ আপডেট: 22nd February 2024 21:41
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সুপার কাপে এগিয়ে গিয়েও বিশ্রী হার ইস্টবেঙ্গলের। তারা অ্যাওয়ে ম্যাচে আইএসএলে জামশেদপুর এফসি-র বিরুদ্ধে ১-২ গোলে হার মানল।
সুপার কাপে জামশেদপুরের বিরুদ্ধে জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। সেই আত্মবিশ্বাসটা ছিল লাল হলুদ দলের। সেই মনোবল নিয়েই আইএসএলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জিতলে ষোলকলা পূর্ণ হতো। কিন্তু লাল হলুদ দলের ফের হারে তারা সেই পুরনো তিমিরেই আটকে থাকল।
জামশেদপুরের ঘরের মাঠে টাটানগরে শেষ হাসি হাসতেই পারত ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু পুরো পয়েন্ট তারা পেল না। ৮১ মিনিটে জামশেদপুরের হয়ে সমতা ফেরানোর গোলটি করেন রেই তাচিকুয়া। আর টাটার দলের হয়ে জয়সূচক গোল করেছেন জেরেমি মানজুরো।
ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল গোল পায় বিরতির ঠিক আগে। নন্দকুমার গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়েছেন। আক্রমণের বিপরীতে গোল করে ঘরের দলকে বোকা বানিয়ে দিয়েছেন কুয়াদ্রাতের দলের নামী তারকা। কিন্তু খেলার একেবারে শেষে খালিদ জামিলের দল করে বাজিমাত করে দিয়েছে।
ম্যাচে ভাল শুরু করেছিল জামশেদপুরই। খালিদ জামিলের কোচিংয়ে এই দলটি কৌশল বদলে আক্রমণ সামলাতে জানে। কিন্তু তাদের সমস্যা রক্ষণে গিয়ে বেদম হয়ে গিয়েছেন বিপক্ষ ফরোয়ার্ডরা। সেই সুবিধে পেয়েছে লাল হলুদ দল। তারা বেশ কয়েকবার গোলের মতো জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিলেন। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের গোলরক্ষক বারবার পতন রোধ করেছেন।
শেষরক্ষা অবশ্য হল না। অ্যাওয়ে ম্যাচ পয়েন্ট পেলে লাল হলুদের ভাল হতো। কিন্তু এই হারে তারা প্রথম ছয়ে থাকবে কিনা সেই নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
বিপক্ষ দলে ছিলেন তিন ইস্টবেঙ্গলী। কোচ খালিদ জামিল ছাড়াও সিভেরিও এবং ড্যানিয়েল চিমাচুকু ছিলেন জামশেদপুর দলে। ড্যানিয়েল ও সিভেরিও ভাল খেলেছেন। তাঁরাই মূলত আক্রমণ গড়েছেন প্রথমার্ধে। বিরতির পরে অবশ্য লাল হলুদ দল আক্রমণে চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ম্যাচে বহু সুযোগ তারা অপচয় করেছে।
ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিশ কোচ দল বদলেও সাফল্য পেলেন না। তিনি বিরতির পরে আক্রমণে নজর দিয়েছিলেন। কিন্তু সেটি কার্যকরী হয়নি। বরং বিপক্ষ দল একটা পেনাল্টি হারায়। ইমরানকে বক্সের মধ্যে ফেলে দেন হিজাজি মাহের। রেফারি দেখেও পেনাল্টির বাঁশি বাজাননি। তবে জামশেদপুরের দুটি গোলই হয়েছে কুয়াদ্রাতের রক্ষণের দোষেই।