শেষ আপডেট: 8th March 2025 19:06
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আবারও রেফারির ভুল সিদ্ধান্তের স্বীকার হল ইস্টবেঙ্গল এফসি? এই প্রশ্নেই আপাতত উত্তাল গোটা ইন্ডিয়ান সুপার লিগ। শনিবার (৮ মার্চ) নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু, এই ম্যাচে একটি বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কারণে লাল-হলুদ সমর্থকরা আপাতত ক্ষোভে ফুঁসছেন। একটা নিশ্চিত হ্যান্ডবল এড়িয়ে গেল রেফারির চোখ। আর তখনই নর্থ-ইস্টের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করলেন আলাদিন আজারাই। এই ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল ৪-০ গোলে হেরে গেল।
কী হয়েছিল ঘটনাটি? ম্যাচের ৬৫ মিনিটে নর্থ-ইস্টের ডিফেন্ডার রবিন যাদব ইস্টবেঙ্গল গোলপোস্টের সামনে হেড দিয়ে বলটা নামাতে গিয়েছিলেন। সেইসময় বলটা তাঁর মাথায় লাগার পর স্পষ্ট হাতে স্পর্শ করে। কিন্তু, এই হ্যান্ডবলটি রেফারির চোখ এড়িয়ে যায়। এরপর রবিন গোলমুখী শট নেন। কিন্তু, প্রথম ধাক্কাটা বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন লাল-হলুদ গোলকিপার দেবজিৎ মজুমদার। কিন্তু, সেই ফিরতি বলে ফের শট নেন আলাদিন। তাঁর ডান পায়ের শট একেবারে বক্সের মাঝ বরাবর ঢুকে যায়।
এরপর ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা রেফারির কাছে এসে হ্যান্ডবলের কথাটি জানান এবং গোল বাতিলের অনুরোধ করেন। কিন্তু, ম্যাচ রেফারি সেই আবেদনে একেবারে কর্ণপাত করেননি। তিনি খেলা চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, এবারের ইন্ডিয়ান সুপার লিগে আলাদিন প্রত্যেকটা দলের বিরুদ্ধে গোল করেছেন। বাকি ছিল একমাত্র ইস্টবেঙ্গল এফসি। শনিবার সেটাও পূরণ হয়ে গেল।
এখানেই শেষ নয়। ম্যাচের ৭৫ মিনিটে ফের রেফারির পক্ষপাতিত্বের শিকার হল ইস্টবেঙ্গল। আলাদিন আজারাইকে ট্যাকল করতে গিয়েছিলেন তন্ময় দাস। আলাদিনের সঙ্গে তন্ময়ের সেইভাবে কোনও বডি কনট্যাক্টও হয়নি। কেন যে রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দিলেন তা নিয়েও উঠতে শুরু করেছে একাধিক প্রশ্ন। সেই সুযোগ ৭৮ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি করেন আলাদিন।
এই ম্যাচে আরও দুটো গোল হয় নর্থ-ইস্টের। ৫৮ মিনিটে প্রথম গোলটা করেছিলেন নেস্টর রজার। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই দোষ ছিল ইস্টবেঙ্গলের তরুণ ফুটবলার চাকু মান্ডির। তোনডোংবা সিং যখন ক্রস করে বলটা বাড়িয়েছিলেন, সেইসময় নেস্টরের সামনে ছিলেন চাকু। কিন্তু, বলটা তিনি রিসিভ করতে পারেননি। এরপর নেস্টরের বাঁ পায়ের জোরাল শট দেবজিতকে পরাস্ত করে। ৮৫ মিনিটে নর্থ-ইস্টের হয়ে চতুর্থ গোলটা করলেন মহম্মদ আলি বিমার। সবমিলিয়ে চলতি ইন্ডিয়ান সুপার লিগে শেষ ম্য়াচটাও ইস্টবেঙ্গল হেরে গেল এবং হতাশা নিয়েই তারা মরশুম শেষ করল।