শেষ আপডেট: 12th March 2025 18:14
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ইন্ডিয়ান সুপার লিগে ভাল পারফরম্যান্স করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল এফসি। তা নিয়ে সমালোচনাও কম হয়নি বাংলার ফুটবলমহলে। আশা ছিল, এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের সেমিফাইনালে উঠতে পারলে, সেই ক্ষত কিছুটা হলেও উপশম হবে। কিন্তু, সেটা আর হল না। কোয়ার্টার ফাইনালের জোড়া লেগ মিলিয়ে এফকে আর্কাদাগ ৩-১ গোলে জয়লাভ করল। আর সেইসঙ্গে চুরমার হয়ে গেল ইস্টবেঙ্গলের যাবতীয় স্বপ্ন।
ম্যাচের ৮৭ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের বিপক্ষে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন রেফারি। বক্সের মধ্য়ে সৌভিকের একটি বাজে ট্যাকলের কারণেই লাল-হলুদের কপালে এই দুর্ভোগ নেমে আসে। রেফারির এই সিদ্ধান্তের পরই উল্লাসে মেতে ওঠেন আর্কাদাগের ফুটবলার তিরকিশোভ। কারণ ততক্ষণে এই ম্যাচের ফলাফল কী হতে চলেছে, সেটা কার্যত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ৮৮ মিনিটে ঠাণ্ডা মাথায় গোল করলেন আন্নাদুরদিয়েভ। আর সেইসঙ্গে আর্কাদাগের সেমিফাইনাল টিকিট কনফার্ম হয়ে যায়।
তবে এখানেই শেষ নয়। রেগুলেশন টাইমের পর আরও ৭ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। সেখানেই লাল-হলুদের কাটা ঘায়ে ফের নুনের ছিটে দিল আর্কাদাগ। এই গোলটার ক্ষেত্রে প্রভসুখন গিলের যে কিছুটা হলেও ভুল রয়েছে, সেটা নির্দ্বিধায় বলা যেতে পারে। এই গোলটার পর ইস্টবেঙ্গলের সামনে ফিরে আসার আর কোনও রাস্তাই খোলা ছিল না।
তবে এই ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল যেভাবে লড়াই করেছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। ম্যাচের প্রথম মিনিটে গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন মেসি বাউলি। এই গোল গোটা দলের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু, ৩৩ মিনিটে চুনুঙ্গা লাল-কার্ড দেখে বেরিয়ে যাওয়ার পর সেই আত্মবিশ্বাসে কিছুটা হলেও ফাটল ধরে। কিন্তু, ম্যাচের বাকি সময়টা যেভাবে তারা ১০ জন মিলে লড়াই করে গেল, সেই লড়াইকে সকলেই কুর্নিশ জানাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, সেমিফাইনালে যেতে হলে এই ম্যাচটা ইস্টবেঙ্গলকে কমপক্ষে ২-০ গোলে জিততে হত। কারণ, প্রথম লেগের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল ১-০ গোলে হেরে গিয়েছিল। ম্যাচের ১০ মিনিটের মাথায় গোল করেছিলেন আর্কাদাগের ফুটবলার গুরবানোভ। সেক্ষেত্রে এই ম্যাচটা যদি ইস্টবেঙ্গল ১-০ গোলেও জিততে পারত, তাহলেও না হয় দুটো লেগ মিলিয়ে ১-১ গোলে টাই হত। তারপর টাইব্রেকারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যেত। কিন্তু, এই ম্যাচটা ১-১ গোলে জয়লাভ করার পাশাপাশি আর্কাদাগ ৩-১ গোলে এগিয়ে গেল। আর শেষপর্যন্ত স্বপ্নভঙ্গ হল ইস্টবেঙ্গলের।