শেষ আপডেট: 12th December 2024 23:55
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ইস্টবেঙ্গলের 'পোলা-মাইয়ারা' দেশভাগের যন্ত্রণা বোঝে। তা সে বয়স যাই হোক। ঠাকুমা-দিদার মুখে গল্প শুনেছে প্রজন্মের পর প্রজন্ম। দেশ ছাড়ার অভিমান গায়ে না থাকলেও এ প্রজন্মের কাছে আবেগ যে ষোলোআনা রয়েছে তা ফের প্রমাণ হল এদিনের ইস্টবেঙ্গল-ওড়িশা ম্যাচে।
জাতিগত ও সাম্প্রদায়িক নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে ইস্টবেঙ্গল। যে ক্লাবের সমর্থকের পরিবার দেশভাগের আগে-পরে এবং ৬০-এর দশকের শেষ ও ৭০-এর দশকের প্রথম দিকে আক্রমণের শিকার হয়েছেন, তাঁদেরই প্রজন্মকে দেখা গেল বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে গর্জে উঠতে। ইয়াব্বড় টিফো নিয়ে নিজেদের মতো করে প্রতিবাদ জানালেন তাঁরা। যাতে লেখা, 'সংখ্যালঘুর রক্ত মুছে ফেললেই চলবে? দেশান্তরীর স্মৃতিগুলো সব, ঢাকতে তুমি কি পারবে?'
ক'দিন আগেই বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিবৃতি দেয় ইস্টবেঙ্গল। ক্লাবের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের উপর এই ধরনের নিপীড়ন বন্ধ হওয়া দরকার। ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন সমস্যাটিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সীমান্তের ও-পারে 'মা, বোন ও ভাইদের বাঁচাতে' এবং শান্তিস্থাপন করতে দিশা দেখান।
আবার বাংলাদেশে হিন্দু নিপীড়নের প্রতিবাদে পথেও নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল। অনেকেরই হাতে সেদিন প্ল্যাকার্ড ছিল। সেখানেও বার্তা ছিল, 'সংখ্যালঘুদের ন্যায়বিচার চাই', 'হত্যা নয়, উচ্ছেদ নয়, লক্ষ্য় শুধু সমৃদ্ধির দৃপ্ত সমন্বয়'। মোটের ওপর বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে প্রতিবাদ অব্যাহত।
এক সমর্থকের কথায়, 'গোড়া থেকেই ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সঙ্গে নাড়ির সম্পর্ক বাংলাদেশের। তাই সেই নাড়ির টানেই বারবার সোচ্চার হচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। কারণ আফটার অল সেটাও আমাগো দ্যাশ।'