শেষ আপডেট: 19th July 2024 17:47
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ডার্বি ম্যাচে জোড়া গোলে জয়ের পর কাস্টমসে আটকে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। ফের পুরনো ছন্দে ফিরল শুক্রবার নিজেদের মাঠে। এদিন লাল সমর্থকদের ভরা গ্যালারির সামনে পুলিশ এসিকে ৬-০ গোলে হারাল বিনো জর্জের ছেলেরা।
এদিন মাঠে এসেছিলেন সিনিয়র দলের তারকা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার জিকশন সিং। তাঁর সামনেই রিজার্ভ দলের ফুটবলাররা গোলের মালা পরাল বিপক্ষ দলকে। এমনকী মাঠে ছিলেন দলের সিনিয়র কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাত। তিনিও জুনিয়র দলের খেলা দেখে খুশি হয়েছেন।
নিজেদের মাঠে লাল হলুদ দল তছনছ করে দিয়েছে পুলিশের ব্যারিকেড। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে দুটি গোল করেন জেসিন টিকে। একটি করে গোল সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়, পিভি বিষ্ণু, শ্যামল বেসরা, আমন সিকে-র। পুলিশ এসি–কে হারিয়ে কলকাতা প্রিমিয়ার লিগে গ্রুপ বি–তে শীর্ষস্থানে উঠে এল ইস্টবেঙ্গল। গোলপার্থক্যে পেছনে ফেলে দিয়েছে ভবানীপুরকে।
বৃষ্টির মধ্যেই মখমলের মতো মাঠে দারুণ শুরু করেছিল ইস্টবেঙ্গল। সায়নকে এদিন শুরু থেকেই মাঠে নামান লাল হলুদ কোচ বিনো জর্জ। তাঁর নেতৃত্বেই বাঁদিক থেকে বারবার আক্রমণ করেছে ইস্টবেঙ্গল। ১৬ মিনিটে বাঁদিক থেকে দারুণ সেন্টার করেছিলেন সায়ন। কর্নারের বিনিময়ে বাঁচান পুলিশ এসির ডিফেন্ডার।
১৭ মিনিটে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। বাঁদিক থেকে উঠে এসে গড়ানো সেন্টার করেছিলেন সায়ন । পুলিশ এসি–র এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে গোলকিপার শুভঙ্করকে বোকা বানিয়ে গোলে ঢুকে যায়। ২২ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ এসেছিল ইস্টবেঙ্গলের সামনে। সায়নের মাইনাস পুলিশ বক্সে সুবিধজনক জায়গায় পেয়েও জালে রাখতে পারেননি জেসিন টিকে।
বিরতির পরে ইস্টবেঙ্গলের দাপট আরও বাড়ে। দুই প্রান্ত থেকে আছড়ে পড়ে আক্রমণ। জেসিনের পাস থেকে শ্যামল বেসরা ৩-০ করেন। জেসিন জোড়া করেন। লাল-হলুদের হয়ে ষষ্ঠ গোলটি করেন আমন সিকে। গোলের পাস বাড়িয়েছিলেন জেসিন। দুই বন্ধুর জুটিতে বাজিমাত লাল হলুদের।
কলকাতা লিগে শুরু থেকেই বেশ চনমনে লাগছে লাল হলুদ দলকে। তারা কৌশলে বাজিমাত করছে বিপক্ষকে। শেষ ম্যাচে ড্র করার জন্য এদিন শুরু থেকেই গোল করার ব্যাপারে মরিয়া ছিল ইস্টবেঙ্গল। পুলিশকে হাফডজন গোলে হারানো তারই প্রমাণ।