শেষ আপডেট: 26th February 2024 22:06
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ইস্টবেঙ্গলের প্লে অফে যাওয়ার লড়াই চলছেই। আইএসএলের প্রথম ছয়ে থাকাই লক্ষ্য কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাতের। তিনি অনেক দেরি করে দলের দায়িত্ব নিয়েছেন। তাঁর কাছে চ্যাম্পিয়ন হওয়া ছিল বাতুলতা। তিনি ছোট ছোট লক্ষ্য নিয়ে এগিয়েছেন।
সুপার কাপ জিতেছেন ওড়িশায়। তারপরে আইএসএলে এসে ছন্দপতন। এবার অবশ্য টানা দুটি ম্যাচে জিতল তাঁর দল। যুবভারতীতে তারা ১-০ গোলে হারাল চেন্নাইয়ান এফসি-কে। জিতে তারা তালিকায় আটে চলে এল বেঙ্গালুরুকে টপকে।
এই ম্যাচ হারলে অব্যর্থভাবে ধাক্কা খেত লাল হলুদ দল। সমর্থকদের সামনে হারা মানে অনেকটা লড়াই থেকে পিছিয়ে আসা। দলকে গোল পেতে অপেক্ষা করতে হল ম্যাচের ৬৫ মিনিট পর্যন্ত। বাঁদিক থেকে নন্দকুমারের শট বিপক্ষ এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে বল জালে জড়িয়ে গিয়েছে। হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন লাল হলুদ সমর্থকরা।
ইস্টবেঙ্গলের এই মুহূর্তে ১৬ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট। তারা প্লে অফের লড়াইয়ে রয়েছে। ঘরের মাঠে জিতে স্বস্তি সমর্থকদের। কারণ এরপর লাল হলুদ দল চারটি কঠিন ম্যাচ খেলবে। ১০ মার্চ মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ম্যাচ রয়েছে অবশ্য যুবভারতীতে। গোয়া, কেরল এবং ওড়িশায় গিয়ে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলবে।
এদিন ম্যাচে বিরতির আগে পর্যন্ত কুয়াদ্রাতের দলকে তেমন আক্রমণ করতে দেখা যায়নি। সেইসময় চেন্নাইয়ের দলটি ভাল খেলছিল। দ্বিতীয়ার্ধে তিনটি বদল ইস্টবেঙ্গলের খেলায় পরিবর্তন আনে। কোচ নামান নিশু কুমারের বদলে মন্দার রাও দেশাইকে। ফেলিসিও ব্রাউনের জায়গায় নামলেন বিষ্ণু। রাকিপের পরিবর্তে নবাগত প্যান্টিচ। তাতেই আরও আক্রমণ করেছে নন্দকুমার, সিলভারা।
ঘরের মাঠে সমর্থকদের সামনে একাধিক গোলে জিতলে কোচ ও ফুটবলাররাও আরও খুশিতে থাকতেন। কিন্তু গোল মিস করার প্রবণতা ও আসল সময়ে রক্ষণে কাঁপন কোচকে বাকি ম্যাচেও চিন্তায় রাখবে।
এই খেলায় লাল হলুদের সব বিদেশিই খেলেছেন। ব্রাউন, প্যান্টিচরা এখনও নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারেননি। তবে সিলভা ও নন্দকুমারের মধ্যে সমঝোতা নজর কেড়েছে। কোচ অবশ্য রেফারির সঙ্গে ফের তর্কে জড়িয়েছেন। তিনি এদিন কার্ড দেখে মাঠের বাইরে চলে যেতেই পারতেন।