দ্য ওয়াল ব্যুরো : একটা সময় তিনি অবসর নিয়ে ফেলেছিলেন। এমনকি অবসর নিয়ে তাঁর মনে হয়েছিল আবারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলতে পারেন। সেই হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার নামী ক্রিকেটার সেই দেশের বোর্ডের কাছে আবেদন করেন যে ফের তাঁকে দেশের হয়ে খেলতে নামার সুযোগ দেওয়া হোক।
সেই ইচ্ছে যদিও পূরণ হয়নি। তবুও আইপিএলের মতো কর্পোরেট দুনিয়ার ক্রিকেটে তাঁর অবস্থান মন্দ নয়। তিনি এমন একটি দলে রয়েছেন যে দলের ক্যাপ্টেন নিজেই ক্রাউডপুলার, সেই বিরাট কোহলির দলের আরও এক ভরসার নাম এবি ডি’ভিলিয়ার্স।
তিনি আরও এবার আলোচিত হচ্ছেন, এই কারণে করোনা যোদ্ধাদের মনে রেখে তিনি এক সাধারণ মানুষের নামাঙ্কিত জার্সি পরে খেলছেন। সেই কোভিড যোদ্ধার নাম পরিতোষ পন্থ, তিনি নিজে আক্রান্ত নন, বরং করোনা কালে সাধারণ মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি তাঁদের মুখে খাবার তুলে দিয়েছেন। সেই মানুষটিকে সম্মান জানাতেই এবি ডি’ভিলিয়ার্সের জার্সিতে ‘পরিতোষ’ লেখা রয়েছে।
সব থেকে বড় কথা, এতদিন মাঠের বাইরে থেকেও তাঁর পুরনো টাচ হারায়নি, সেটিরও প্রমাণ মিলেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ম্যাচে। ৩০ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলে তিনি দলকে টেনেছেন তাই নয়, পাশাপাশি দেবদূত পাল্লিকালের সঙ্গে জুটি গড়েছেন। দেবদূত নজর কেড়েছেন অভিষেক আইপিএল ম্যাচে। এমনকি দলের নামী স্পিনার যজুবেন্দ্র চাহালের নামের পাশে ১৮ রানে তিন উইকেট। তবুও কোথাও যেন এবি-র নামটাও জয়ের নায়কদের বন্ধনীর মধ্যে রয়েছে।
প্রায় ৮ মাস পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে নেমে এমন ব্যাটিং করতে পেরে নিজেই চমকে গেছেন ডি ভিলিয়ার্স। ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, ‘‘সত্যি বলতে, আমি নিজেই নিজেকে চমকে দিয়েছি। এতদিন পরে মাঠে নেমে সাবলিলভাবে খেলতে পারব, আমি আশাও করিনি। আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল এখানের শুরুটা ভালো করা। এছাড়া আমার আত্মবিশ্বাসের কমতি ছিল না। এবারের দলটাও আমাদের অনেক ভাল, আমি ভাল কিছুর আশাই করছি।’’
কোহলির দলের নামী তারকা আরও জানিয়েছেন, ‘‘আপনি যখন দীর্ঘদিন খেলার মধ্যে না থাকেন, সেইসময় একটা সংশয় থাকে, মনের ভেতর একটা আওয়াজ ওঠে, আমি পারব তো? আমার ক্ষেত্রেও সেটি হয়েছিল, কিন্তু সত্যি বলতে এই ইনিংস আমাকে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে।’’
তিনি বলেন, ‘‘গত চার সপ্তাহে আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি এবং আমি নিজে ফর্ম খুঁজে পেয়েছি। আজকের শুরুটা তৃপ্তিদায়ক ছিল। দূর্ভাগ্যবশত রানআউট হয়েছি। যদিও ব্যাটিংয়ের ব্যকরণটা ঠিকই ছিল, তাই আমি খুশি।’’